৭ মামলার আসামি ‘কুখ্যাত ডাকাত’ রনি হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ

৭ মামলার আসামি ‘কুখ্যাত ডাকাত’ রনি হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ
ডন প্রতিবেদন : নারায়নগঞ্জ জেলার ৭ মামলার আসামি ‘কুখ্যাত ডাকাত’ রনি হাসানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ। নৌ পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায় নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশন্স), শফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম এবং নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদার নেতৃত্বে অফিসার এবং ফোর্সসহ কুশিয়ারা সুতারপাড়া, তিনগাঁও এবং বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রেনিং, লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নৌ পুলিশ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কুখ্যাত ডাকাত ৭ মামলার আসামি রনি হাসান তার নিজ এলাকায় অবস্থান করছে। অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর গত ১৭ আগস্ট ভোর আনুমানিক ৪টায় বন্দর থানায় তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ১২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, ১টি ল্যাপটপ, ১৬টি সিম কার্ডসহ ৯ টি মোবাইল ফোনসেট এবং ১টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। জানা গেছে, কুখ্যাত ডাকাত রনি হাসান ছোটো বেলা থেকে তার পিতারসঙ্গে সোনারগাঁ থানাধিন সাহাপুর কাঠপট্টিতে লাকড়ির ব্যবসা করতো। এক পর্যায়ে সে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরে। পরে বৈদ্যের বাজার এলাকায় খেয়া পারাপারের নৌকায় মাঝির কাজ করতো। এরপর ধিরে ধিরে নৌপথে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ে সে। বৈদ্যের বাজারে নৌ পুলিশের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর তার অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার শুরু করে। এবং সে অপরাধের ধরণ পরিবর্তন করে সুকৌশলে ঢাকা-সিলেট নৌপথের প্রায় ২শ বাল্কহেড মাস্টার/শুকানিদের নিজ আয়ত্তে নিয়ে চাঁদাবাজি করতে থাকে। এ ছাড়া যে সকল বাল্কহেড চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাতো, সেই সকল বাল্কহেডে সে ও তার দলের লোকেরা ডাকাতি/ছিনতাই পরিচালনা করে আসছিলো। অবশেষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নৌ পুলিশের একটি চৌকস দলের অভিযানে রনি ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাকে গ্রেপ্তারের ফলে সোনারগাঁ ও বন্দর থানাসহ নৌপথে চলাচলকারি সকল নৌযান মালিক-শ্রমিক ও যাত্রিসহ সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে নেমে এসেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস।