৬ লাখ টাকায় ‘জিম্মিদশা’ থেকে মুক্তি পেলেন দুই কৃষক
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ, কক্সবাজার ও সংবাদদাতা, টেকনাফ : কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত কৃষক নজির আহমদ (৫০) এবং তাঁর ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (২৭) মুক্তিপণের বিনিময়ে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
আজ শনিবার (পহেলা অক্টোবর) বিকেল তিনটার দিকে মুক্তিপণের ৬ লাখ টাকা দেওয়ার পর বাবা-ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে তাঁদের পরিবার। তাঁরা টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী এলাকার বাসিন্দা।
তবে পুলিশ বলছে, বাবা-ছেলেকে অপহরণ করা হয় নি। বরং গরু ব্যবসার লেনদেন কেন্দ্র করে তাঁদেরকে জিম্মি করা হয়েছিলো। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে কারা তাঁদের জিম্মি করেছিলো, সে ব্যাপারে পুলিশ কিছুই জানায় নি।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে ওই দুজনসহ পাঁচ কৃষক ক্ষেতে কাজ করছিলেন। এ সময় সেখান থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয়।
খবর পেয়ে কৃষকদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ফেলে নজির আহমদ ও তাঁর ছেলেকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অপহরণকারীরা পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে।
মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা নজির আহমদ বাঙলার কাগজ ও ডনকে জানান, তাঁদের বেশ মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ হয়ে আইনি প্রদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান তাঁরা।
নজির আহমদের শ্যালক নূর মোহাম্মদ বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, শনিবার ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর আমার বড় বোনের স্বামী নজির আহমদ ও ভাগনে মোহাম্মদ হোসেনকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। টাকার জন্য তাঁরা বাবা-ছেলেকে মারধর করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। এমনকি মামলা না করার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, বিষয়টি অপহরণ নয়। গরু ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে তাঁদের জিম্মি করা হয়েছিলো। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় এখনও মামলা করে নি। তবে পুলিশের তৎপরতায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।