৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসিকে ব্যাখ্যার নির্দেশ

৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ: বিসিআইসিকে ব্যাখ্যার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : ‘৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের’ বিষয়ে বিসিআইসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ২০ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদেশে ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেনো অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে দুদককেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে দুদককে।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মে’র মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) আমদানি করা ৭২ হাজার টন সার বন্দর থেকে খালাস করা হয়। সারগুলো পরিবহনের দায়িত্বে ছিলো নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স।

এই বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর সেগুলো গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করে পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের ৫৮২ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

বিষয়টি বিসিআইসির তদন্তে ধরা পড়লেও কোনও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দৈনিক প্রথম আলো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনের এক জায়গায় বলা হয়েছে, পোটন ট্রেডার্সের গুদামে আমদানি করা সার মজুদ আছে কিনা, তা যাচাই করতে গত ১০ নভেম্বর বিসিআইসি দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দুই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে গত ৮ ডিসেম্বর। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোটন ট্রেডার্স গত অক্টোবরের শুরুতে জানিয়েছিলো যে, তাঁদের ছয়টি গুদামে ৬৬ হাজার টন সার রয়েছে। তবে সরেজমিন তদন্তে দেখা গেছে, গুদামে আছে মাত্র ১ হাজার ৩ শ টন সার। এই সারও ব্যবহারের অনুপযোগী এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণযোগ্য নয়।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনলে বিচারক বিসিআইসির কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়াসহ রুল জারি করেন।