হাসিনার ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের তদন্ত চায় বিএনপি

হাসিনার ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের তদন্ত চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : পদত্যাগকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে ৫৯ হাজার কোটি টাকা (৫০০ কোটি ডলারেরও বেশি) আত্মসাৎ সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি। সোমবার (১৯ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বার্নাড স্পানিয়রের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ দাবি করে দলটি।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে আরও অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

ঘণ্টাব্যাপী চলা এই বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা, আগামী নির্বাচন, দেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনাসহ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৯০০০ কোটি টাকা) লোপাট করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠক শেষে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এর তদন্ত চাই। এটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে, এতোগুলো টাকা যে বিদেশে পাচার হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের ওপর পাচারের কথা বলা হচ্ছে এগুলো ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা সাজেস্ট করেছি সবাই এ নিয়ে কাজ করতে হবে। তাঁরা এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে রাজি আছে।’

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পটপরিবর্তনের পরে বাংলাদেশ গণতন্ত্র, রাজনীতি ও অর্থনীতি সবকিছু মিলিয়ে আগামীদিনের বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কীভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা করতে পারে। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আমির খসরু আরও বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের কী ধরনের সহযোগিতা থাকতে পারে- বিশেষ করে আমাদের দেশ থেকে ইউরোপে যে রপ্তানি হয় এটা কীভাবে আমরা অব্যাহত রাখতে পারি সেক্ষেত্রে তাদের কী করা উচিত, আর্থিকখাতে রিফর্ম কীভাবে করা যায়, দেশ অর্থনৈতিকভাবে কীভাবে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, প্রশ্ন করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, গণতন্ত্রের ফিরে আসতে হলে নির্বাচন ছাড়া তো সুযোগ নেই। স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।