সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন আবদুল্লাহ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন আবদুল্লাহ
ডন প্রতিবেদন : নব্য জেএমবির সামরিক শাখার কমান্ডার আবদুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছির ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও দেখে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এক বছর তিন মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে তিনি নব্য জেএমবির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হন। পরে গত বছরের ২৪ জুলাই রাতে পুরানা পল্টনে পুলিশ চেকপোস্টের পাশে রিমোট নিয়ন্ত্রিত বোমা রেখে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটান আবদুল্লাহ। গতকাল বুধবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুর মাজার রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। আসাদুজ্জামান বলেন, বাছিরের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকায়। কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে তিনি নব্য জেএমবির সামরিক শাখায় কাজ শুরু করেন। নব্য জেএমবির আমির মাহাদী হাসান ওরফে জনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে তাঁর নির্দেশে কাজ করতে শুরু করেন। নব্য জেএমবির একজন শুরা সদস্য আবু মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানেও তিনি কাজ করতে থাকেন। আবু মোহাম্মদ তাকে ‘সুবিধাজনক অবস্থানে’ পুলিশের ওপর হামলা করার জন্য নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী তাঁকে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম কেনার জন্য টাকাপয়সা দেন। সিটিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান আরও বলেন, বাছির প্রথমে রাজধানীর তোপখানা রোডে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। পরে মাহাদী ও আবু মোহাম্মদ তাকে সেই বাসাটি ছেড়ে একা বাসা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি রাজধানীর মান্ডা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। সেই বাসা থেকে বাছির হামলার জন্য বোমাটি বানান। পরে ‘সুবিধাজনক স্থান’ হিসেবে গত বছরের ২৪ জুলাই রাতে পুরান পল্টনের পুলিশ চেকপোস্টে বোমাটি রাখেন। তিনি বোমা রাখার একটি নিরাপদ স্থান খুঁজছিলেন, যেখানে কোনও সিসি ক্যামেরা থাকবে না। ঢাকা শহরে যতোগুলো এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিলো, সবগুলোর সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পাওয়া গেলেও পল্টনের ঘটনাটির কোনও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ‘পাওয়া যায় নি’। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।