সাভারে শিক্ষক পিটিয়ে হত্যা : বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; সাভার : সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারের হত্যাকারীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুর ১টার দিকে ইপিজেড-আশুলিয়া-টঙ্গী সড়কে এই বিক্ষোভ করেন হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ঘটনার দিন সকাল থেকেই জিতুসহ আরও দু-তিনজন স্ট্যাম্প হাতে ঘোরাঘুরি করে। জিতুর সঙ্গে তারাও অপরাধী। ঘটনার ২০ মিনিটের মধ্যে জিতুর বাবা ঘটনাস্থলে এসে প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন। কিন্তু নিহত শিক্ষক কিংবা তার পরিবারকে আর্থিক ও মানসিক সাপোর্ট তিনি দেন নি। বরং তিনি ও তার পরিবার জিতুকে পালিয়ে থাকতে সহায়তা করছেন। তারা নিজেরাও পলাতক।
জিতু সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বলেও দাবি তাদের।
এর আগে হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো : অনতিবিলম্বে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী জিতুকে গ্রেপ্তার করতে হবে, জিতুর সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে, জিতুর বাবা প্রভাব খাটিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন- তাই তার বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে হবে, নিহতের পরিবারকে সর্বোচ্চ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় শিক্ষার্থীদের ভেদাভেদ নির্মূলে সর্বজনীন আইন প্রণয়ন করতে হবে, পুরো এলাকা থেকে কিশোর গ্যাং নির্মূলে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা এ সময় ইপিজেড-আশুলিয়া-টঙ্গী সড়কের জামগড়া এলাকায় অবস্থান নেন।
এর আগে শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ২টার দিকে স্কুল মাঠে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করে দশম শ্রেণির ছাত্র জিতু। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৭ জুন) ভোর সোয়া ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত শিক্ষক উৎপল সরকার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের এলংজানী গ্রামে মৃত অজিত সরকারের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এবং শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।