প্রশ্ন : একটি বিশেষ বার্তা নিয়ে ৫০ কিলোমিটার হাঁটার পর এখন আপনার কী মনে হচ্ছে?
বিমল পাল : খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে পুরো পথ আমারসঙ্গে হেঁটে এবং গাড়িতে করে ছিলেন তরুণেরা। অনেকেই পথের বিভিন্ন স্থান থেকে হেঁটে আমারসঙ্গে যুক্ত হয়ে কিছু পথ হেঁটেছেন। আর ময়মনসিংহে প্রবেশর সময় তো মানুষের স্রোত ছিলো বলা যায়। আমি খুবই উজ্জীবিত।
প্রশ্ন : এতো পথ হেঁটে আসার পর শারীরিকভাবে কেমন বোধ করেছেন?
বিমল পাল : এক কথায় বলা যায়, দারুণ। রাতে খুব ভালো ঘুম হয়েছে। সকাল থেকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছি।
প্রশ্ন : হাঁটার পরিকল্পনা করার সময় থেকে আপনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে ৫০ কিলোমিটার হাঁটা খুব কঠিন হবে না। হাঁটতে হাঁটতে কখনো কি মনে হয়েছে পারবেন না?
বিমল পাল : না, কখনো মনে হয় নি আমি পারবো না। হাঁটার বিষয়টা আমার অভ্যাসে আছে।
‘তা ছাড়া আমি দীর্ঘ পথ হাঁটার জন্য কিছু ব্যায়াম জানি। শুরুর পর ২২ কিলোমিটার হেঁটে ফুলপুরে এসে প্রথমে বিরতি নেই। সেখান সেসব ব্যায়াম করি। এরপর আবারও শুরু করি। কোনও সমস্যা ছাড়াই ৫০ কিলোমিটার হেঁটে ময়মনসিংহে আসি।’
প্রশ্ন : হেঁটে ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশের পর এবং পথে পথে মানুষের ভালবাসা পেয়েছেন, এটি কেমন লেগেছে?
বিমল পাল: এককথায় আমি অভিভূত। কৃতজ্ঞ।
প্রশ্ন : তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা ছড়িয়ে দিতে হেঁটেছেন। আরেকটু বিস্তারিত বলবেন কী?
বিমল পাল : মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত করার জন্য হেঁটেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে আছে অসাম্প্রদায়িতকা, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরক্ষেতা আর সাম্যবাদ। আমি চাই শোষণহীন একটি বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবে আমি এসব কথা বললে তরুণ প্রজন্ম যতটুকু উজ্জীবিত হবে, ৫০ কিলোমিটার হাঁটার মাধ্যমে বললে আরও বেশি উজ্জীবিত হবে।
প্রশ্ন : আপনার পরবর্তী পরিকল্পনা কী?
বিমল পাল : যদি বেঁচে থাকি, তাহলে স্বাধীনতার ৫১ বছরে হাঁটব ৫১ কিলোমিটার এবং ৫২ বছরে ৫২ কিলোমিটার…এভাবে হাঁটতেই থাকবো। আর মুক্তিযোদ্ধার ভাতা থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে একটি ট্রাস্ট গঠন করবো। এই ট্রাস্ট দেশের তরুণদেরমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আর চেতনা গড়ে তুলতে কাজ করবে।