ডন সংবাদদাতা, আবু বক্কর সিদ্দিক, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ বন্দে আলীর পরিবারে ৩ দফা হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট গ্রাম পুলিশসহ তাঁর পরিবারের ৪ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এ অবস্থায় তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে এক প্রতিবেশীর মোটরসাইকেলযোগ কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার সময় পথরোধ করে বেধড়ক মারপিটের ঘটনায় গুরুতর আহত গ্রাম পুলিশ বন্দে আলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে রবিবার রাতে স্থানীয় চৈতন্য বাজারে পৌঁছলে সংঘবদ্ধ হামলাকারীরা গ্রাম পুলিশের ছেলে রমজান আলী ও ভাতিজা আসাদুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। তাঁরা বর্তমানের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, তারও আগে গত শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকালে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী আবুল কালাম আজাদের ছেলে জীম মিয়া (২৪) গ্রাম পুলিশ বন্দে আলীর ছোট ভাই সাহেব আলীকে (৫৫) বেধড়ক মারপিট করে। এতে গুরুতর আহত হলেও জীম ও তাঁর দলের লোকজন সাহেব আলীকে কোথাও কোনও চিকিৎসা গ্রহণের জন্য বাড়ি থেকে বের হতে দেন নি।
এ অবস্থায় ৩ দফা হামলার ঘটনায় গ্রাম পুলিশ বন্দে আলী, তাঁর ছেলে রমজান আলী এবং ভাতিজা আসাদুজ্জামান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাহেব আলী বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
এ ঘটনায় তারাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজমুল হোসেন পলাশকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন গ্রাম পুলিশ বন্দে আলী।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আজমল হোসেন পলাশ কোনও সদুত্তর দিতে পারেন নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা গ্রাম পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘প্রশাসনের আমাদের আহ্বান, মামলা গ্রহণপূর্বক অবিলম্বে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হোক।’
সুন্দরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসিবুর রহমান বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছি। যে পর্যন্ত তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি, তাতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।’
‘তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আব্দুল আজিজ গ্রাম পুলিশ বন্দে আলীর লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির কথা জানিয়ে বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, বিষয়টি জানতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
‘প্রাথমিকভাবে তদন্ত কাজ সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’