ডন প্রতিবেদন : বরিশালে ক্ষমতাসীন দলের মেয়রের সঙ্গে প্রশাসনের বিরোধ ও পাল্টাপাল্টি মামলার ঘটনাটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ থেকে হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তাঁর মতে, এটা অচিরেই মিটে যাবে।
রবিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বরিশালের আলোচিত ঘটনাটি নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
গত বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সমর্থক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিদের সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ এনে মেয়রের বিরুদ্ধে যেমন মামলা হয়েছে। তেমনি পাল্টা মামলার আবেদন হয়েছে ইউএনও ও পুলিশের বিরুদ্ধেও।
এই ঘটনার পর মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, আবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ ইউএনওর অপসারণ চেয়েছে, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
এ ঘটনায় রাজনীতিকদেরসঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে কি না- প্রশ্নে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘না, আমি একেবারেই মনে করি না।’
‘মত পার্থক্য থাকতে পারে, এটা থাকবেই। পরিবারের ভেতরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেমনি মত পার্থক্য থাকে, বাবা-সন্তানের মধ্যেও মত পার্থক্য থাকে। আমরা যারা কাজ করি, আমার অধীনস্থদের সাথে আমার যেভাবে কথায় মত পার্থক্য থাকে, আবার আমরা একসঙ্গে কাজও করি।’
‘কোনও ভুল বোঝাবুঝির কারণে যদি ঘটনাটা অতিরঞ্জিত হয়ে হয়ে থাকে, ভুল বোঝাবুঝির যদি নিরসন হয়, তাহলে একটি গণ্ডির ভিতরে চলে যাবে,’ বলেন তিনি।
তাহলে কি ঘটনাটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ ছিলো- প্রশ্নে তাজুল বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে ভুল বোঝাবুঝিই হয়েছে। আপনারা কি অন্য কিছু মনে করেন নাকি? সব ঘটনাই ভুল বোঝাবুঝি থেকেই হয়।’
‘ভুল বোঝাবুঝি’ নিরসনে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না- প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আছেন, স্থানীয় প্রশাসন আছেন, তাঁরা নিজেরাও স্ব স্ব দায়িত্ব মর্যাদাপূর্ণভাবে পালন করতে চান। তাঁদের নিজেদের মধ্যে উদ্যোগ থাকতে পারে, তাঁরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে পারে। আমাদের কোনও সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমরা করবো।’