শহুরে ইটের ফাঁকে এক টুকরো প্রশান্তি শরৎ উৎসব

শহুরে ইটের ফাঁকে এক টুকরো প্রশান্তি শরৎ উৎসব
ডন প্রতিবেদন : প্রকৃতির কোলজুড়ে হেমন্তের আগমনি বার্তা। এমন অবস্থায় ৯ আশ্বিন (শুক্রবার) শহুরে ইটের ফাঁকে আয়োজন করা হলো শরৎ উৎসব। আর তাতে যেনো নেমো এলো ‘এক টুকরো’ প্রশান্তির ছায়া। সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত শুক্রবারের ওই শরৎ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় সকাল সাড়ে ৭টায় স্বপন সরকারের ঢোলবাদনের মধ্য দিয়ে। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক নিগার চৌধুরী। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘ঋতু বৈচিত্র্যের এই বাংলাদেশের মানুষ ভীষণ রকম উৎসবপ্রিয়। এ কারণে এখানকার সংস্কৃতিতে নানা সময় নানা উপাদান যুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো ঋতুভিত্তিক উৎসব।’ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনের কথা যতোই বলি না কেন, বাঙালিত্বকে তা কখনো কেড়ে নিতে পারবে না।’ আহকাম উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সেই অদ্ভুত গন্ধের, অতি সবুজ পৃথিবীটা আমরা আবার ফিরে পাবো, যেখানে নিরাপদ থাকবে সব প্রাণী। এই শরৎ উৎসবে চাওয়া, দ্রুত মহামারী চলে যাক।’ আলোচনা পর্বের পর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী। পরিবেশন করে নজরুলসঙ্গিত ‘এসো শারদ প্রাতের পথিক’, রবীন্দ্রসংগীত ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’। পরে সম্মেলক কণ্ঠে ‘শিশিরে শিশিরে শারদ আকাশে’ পরিবেশন করে বহ্নিশিখা। ‘আমার নয়ন ভোলানো এলে’ পরিবেশন করে সুরতীর্থ। এরপর সম্মেলক নৃত্যপর্বে অংশ নেয় ‘স্পন্দন’ ও ‘নৃত্যম’, ‘নৃত্যজন’, ‘কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়’ ‘বুলবুল ললিতকলা একাডেমি (বাফা)। একক সঙ্গিত করেন বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, অনিমা রায়, মামুন জাইদ খান, সজীব, প্রিয়াঙ্কা গোপ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আহকাম উল্লাহ ও নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলী। উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৪টায়। এতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পিরা অংশ নেন। পরিবেশিত হয় গান, আবৃত্তি, সঙ্গিত ও নৃত্য।