শুল্ক ফাঁকির চেষ্টার আরও ২ কনটেইনার বিদেশি মদ জব্দ।

শুল্ক ফাঁকির চেষ্টার আরও ২ কনটেইনার বিদেশি মদ জব্দ।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; চট্টগ্রাম : শুল্ক ফাঁকির চেষ্টায় আনা চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইয়ার্ডের শেড থেকে আরও ২ কনটেইনার বিদেশি মদ জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৫ জুলাই) চালান দুটি জব্দ করা হয়। মোংলা ও নীলফামারির উত্তরা ইপিজেডের দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নামে চালান দুটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

এতে নতুন ২ কনটেইনারসহ চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ৫ কন্টেইনার মদ জব্দ হলো। এসব মদের চালানে ৬২ থেকে ৬৫ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার দুটি ও রোববার একটি চালান আটক করে কাস্টম ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার উপ-কমিশনার সাইফুল হক বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড ও নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিডি কোম্পানি লিমিটেড চালান দুটি আমদানি করে। সুতা ও রেজিন ঘোষণায় চীন থেকে চালানগুলো আমদানি করা হয়েছে। আগের ৩টি চালান জব্দের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। জিজ্ঞাসা তাঁরা জানিয়েছে, চীন থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও মদ আনা হয়েছে দুবাই থেকে।

সাইফুল হক বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর এবং পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) চালান দুটি জব্দ করে। বন্দরের এনসিটির সিএফএস শেডে কায়িক পরীক্ষা রয়েছে। চালান খালাসে কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল না করায় সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের নাম জানা যায় নি। আগে ৩টি চালান খালাসের দায়িত্বে ছিলো জাফর আহমেদ নামের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান। দুটি কন্টেইনার ২৫ থেকে ২৬ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিলো। 

গত শনিবার নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক ২ কনটেইনারে ১ হাজার ৩৩০ কার্টনে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৩১ হাজার ৬২৫ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। মদের শুল্কায়ন মূল্য ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। দুটি চালানে ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে জালিয়াত চক্র।

পরদিন রোববার চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে আটক চালানে ১২ কোটি ৪৫ লাখ শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে। চালানটিতে ১ হাজার ৪৩০ কার্টনে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৫ হাজার ২০৪ লিটার মদ পাওয়া গেছে। যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, বেপজার ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) জালিয়াতি করে নীলফামারীর চালান ৩টি বন্দরে এসেছিলো। খালাসের দায়িত্বে ছিলো নগরীর ডবলমুরিং থানার দোভাষ লেনের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান জাফর আহমেদ।