‘শ্বাসনালি পুড়ে গেছে, শঙ্কামুক্ত নন আবু হেনা রনি।’

‘শ্বাসনালি পুড়ে গেছে, শঙ্কামুক্ত নন আবু হেনা রনি।’

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির শ্বাসনালি পুড়ে গেছে, তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসক।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেছেন, ‘আবু হেনা রনির শ্বাসনালি ও এক কান পুড়ে গেছে। তাঁকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

আবু হেনা রনি শঙ্কামুক্ত নন জানিয়ে ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, ‘এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘কলকাতা থেকেও আমরা অনেক ফোন পাচ্ছি। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাঁর শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

আবু হেনা রনির সঙ্গে দগ্ধ জিল্লুর রহমান (৩২) নামে আরেক যুবককেও আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তাঁর শরীরের ১৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে, তাঁরও শ্বাসনালি পুড়ে গেছে বলে জানান ডা. এস এম আইউব হোসেন।

আবু হেনা রনি একাধারে স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান, অভিনেতা, উপস্থাপক ও মডেল। তিনি ২০১১ সালে ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি বাংলার ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার্স ৬’-এ বিজয়ী হন।

উল্লেখ করা যেতে পারে, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনস মাঠের অনুষ্ঠানে ওই ঘটনায় আবু হেনা রনি ছাড়া আরও চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রনিসহ তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। রনি ও জিল্লুর ছাড়া চিকিৎসাধীন অপরজনের নাম মোশাররফ হোসেন।

জিএমপির সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, মঞ্চের পূর্বপাশেই উড়ানোর জন্য কিছু গ্যাস বেলুন রাখা ছিলো। প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পরও সেগুলো উড়াতে ব্যর্থ হন। কোনও ত্রুটির কারণে হয়তো বেলুনগুলো তিনি উড়াতে পারেন নি। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের দিকে চলে যান। এরপর বেলুনগুলো নিয়ে যাওয়া হয় উদ্বোধনী মঞ্চের পেছন দিকে। কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। উদ্বোধনী মঞ্চের পেছনে সবগুলো বেলুনই বিস্ফোরিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। আহতরা নিচে লুটিয়ে পড়েন। সহকর্মীরা আহতদের দ্রুত গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

অনুষ্ঠানে বেলুনগুলো না উড়লে পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বেলুন মালিককে বলেন, আপনাকে টাকা পরিশোধ করা হবে না, কারণ বেলুন উড়ে নি। তখন বেলুন বিক্রেতা ‘গ্যাসের উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্য’ সেগুলোতে আগুন দিলে, বেলুনগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটে।