শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় মামলা, ৩ বহিরাগত আটক, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।

শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় মামলা, ৩ বহিরাগত আটক, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মহানগরীর জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেন শাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল ইসলাম। 

নিহত শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বুলবুলের বাড়ি নরসিংদী জেলায়।

মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

এদিকে শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের মৃত্যুতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে শুরু হওয়া মিছিলগুলো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে আবার গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। 

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানান, অবিলম্বে বুলবুলের খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনাতে হবে। একইসঙ্গে নিহত বুলবুলের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিহত বুলবুলকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য শাবিপ্রবি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। এসব দাবি পূরণে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

মিছিল শেষে রাত পৌনে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অনুরোধে তাঁরা সড়ক থেকে সরে আসেন।

সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী গাজীকালুর টিলায় শিক্ষার্থী বুলবুলের ওপর ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁকে উদ্ধার করে সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বুলবুল ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হন নি। তিনি তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে ওখানে ঘুরতে যাওয়ার পর ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন বলেই মনে হচ্ছে। আর এ ঘটনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগসূত্র আছে কি-না, তা তদন্তসাপেক্ষে বের করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।