র‌্যাব : দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনাও ছিলো ইভ্যালির রাসেলের

র‌্যাব : দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনাও ছিলো ইভ্যালির রাসেলের
ডন প্রতিবেদন : গ্রাহক ঠকানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে কোম্পানি দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। রাসেলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, শুক্রবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে তা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক গ্রাহক তৈরি করে ইভ্যালির ব্র্যান্ডভ্যালু বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিলো রাসেলের। সেই ব্র্যান্ডভ্যালু কাজে লাগিয়ে তিনি কোনও বিদেশি কোম্পানির কাছে দায়সহ ব্যবসা বেচে দেওয়ার কথা ভাবছিলেন। ‘তিনবছর পূর্ণ হলে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে দায় চাপানোরও পরিকল্পনা ছিলো তার। আর দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে কোম্পানি দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিলো।’ প্রতারণার অভিযোগে এক গ্রাহকের করা মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনকে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। রাতে র‌্যাব সদরদপ্তরে রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উত্তরায় র‌্যাব সদরদপ্তরেই সংবাদ সম্মেলনে আসেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ‘একটি প্রতিবেদনে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দেনা ৪০৩ কোটি টাকা বলা হলেও তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, তার এক হাজার কোটি টাকা দায় রয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনের পর রাসেল ও তার স্ত্রীকে গুলশান থানায় সোপর্দ করা হয়। আরিফ বাকের নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন। পণ্যের জন্য আগাম অর্থ দিয়ে না পাওয়ার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয় সেখানে।