রাজশাহীতে হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে লাশ উদ্ধার। দুই যুবতী গ্রেপ্তার।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; লিয়াকত হোসেন, রাজশাহী : রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছা এলাকায় এক যুবককে হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ১২ ঘণ্টার মধ্যে লাশ উদ্ধারসহ মূল হোতা দুই যুবতীকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো : মোসা. মেরিনা খাতুন (২১), তিনি কাশিয়াডাঙ্গা সায়েরগাছা এলাকার মো. একরামুল ইসলাম ভাদুর মেয়ে; অপরজন একই এলাকার মো. ঈশা হকের মেয়ে মোসা. নেশা খাতুন (২২)।
১৫ জুন বুধবার সকাল পৌনে ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়ি থেকে আসামি মেরিনাকে আটক করেন। আটককৃত আসামির দেওয়া তথ্যমতে, বাড়ির ছাদের স্টোর রুম থেকে রশিদুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি অপর সহযোগী আসামি নেশা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলার পয়লান গ্রামের মো. জহির মন্ডলের ছেলে মো. রশিদুল মন্ডল পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
তিনি মাঝে মাঝে কাজের সুবাদে রাজশাহীতে আসতেন। এই সুবাদে প্রায় এক বছর আগে আসামি মেরিনা খাতুনের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মেরিনা খাতুন সায়েরগাছার বুলবুল আহম্মেদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। গত ১৪ জুন রাতের রশিদুল সায়েরগাছার বুলবুলের বাড়ীতে মেরিনার সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে মেরিনা কথাবার্তার একপর্যায়ে রশিদুলকে বিয়ের কথা বলেন। রশিদুল পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরে জানাবে বলে জানান। কিন্তু মেরিনা রাতেই বিবাহ করার জন্য চাপ দেন ও জোর-জবরদস্তি করতে থাকেন।
রশিদুল রাত ১১টায় সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে মেরিনা তাঁকে বাঁধা দেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডাসহ ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে মেরিনা খাতুন রশিদুলকে নিচে ফেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠার আগেই সকাল ৭টায় মেরিনা অপর আসামি নেশা খাতুনকে সেখানে ডেকে দুইজন মিলে মৃতদেহ বাড়ির ছাদের স্টোর রুমে রেখে তালাবদ্ধ করে রাখেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কাশিয়াডাঙ্গা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের নির্দেশে উপ-পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) বিভূতি ভুষণ ব্যানার্জীর তত্ত্বাবধানে, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাসুদ পারভেজ, উপ-পরিদর্শক মোসা. মোস্তারি জাহান ও তাঁর টিম ওই অভিযান পরিচলনা করে।