যুক্তরাষ্ট্রে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

যুক্তরাষ্ট্রে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ডন প্রতিবেদন : যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে টর্নেডো আইডার কারণে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর এ বন্যায় এ অঞ্চলে মারা গেছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। এরমধ্যে নিউজার্সিতেই মারা গেছেন কমপক্ষে ২৩ জন। সিএনএন জানায়, ছয়টি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য- কানেকটিকাট, মেরিল্যান্ড, নিউজার্সি, নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া ও ভার্জিনিয়াতে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছেন। নিউজার্সির গভর্নর ফিল মারফি জানিয়েছেন, নিহতেরমধ্যে বেশিরভাগই বন্যারমধ্যে তাঁদের গাড়িতে আটকা পড়েছিলেন এবং পানিতে ভেসে গিয়েছিলেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবারও (২ সেপ্টেম্বর) কয়েকটি এলাকায় পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত ছিলো। নিউইয়র্ক শহরে কোনও বাসিন্দা বেসমেন্টে আটকে আছে কিনা, সেটি নিশ্চিত করতে একটি নতুন টাস্কফোর্স বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। উদ্ধারকারিরা ফিলাডেলফিয়া, উত্তর ডেলাওয়ার এবং নিউইয়র্ক রাজ্যের কিছু অংশে জলমগ্ন রাস্তায় নৌকা নিয়ে চলাচল করেছেন। নৌকায় করেই তাঁরা বন্যা কবলিতদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এনেছেন। পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের জরুরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক র‍্যান্ডি প্যাডফিল্ড বলেন, ‘কেবল পেনসিলভেনিয়ায় আনুমানিক কয়েক হাজার পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।’ দুর্যোগের কারণে স্থগিত করা হয়েছে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সির বেশ কয়েকটি ফ্লাইট ও ট্রেন। ইতোমধ্যেই নিউইয়র্ক শহর, ব্রুকলিন, কুইনস ও লং আইল্যান্ডের কিছু অংশে ‘জরুরি বন্যা পরিস্থিতি’ ঘোষণা করা হয়েছে। ম্যাসাচুসেটস ও রোড আইল্যান্ডের কয়েকটি অংশে টর্নেডো সতর্কতা জারি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের প্রধান রডনি হ্যারিসন জানান, সাবওয়েতে আটকে পড়া ৮৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মারফি বলেন, ‘আইডার মতো ঝড় জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা এবং এটি মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তাকে প্রতিফলিত করছে। এই ধরনের ঝড় ঘন ঘন আসছে এবং আরও তিব্র হচ্ছে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি গভর্নরদের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি যে, ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিতে আমার টিম মাঠে আছে এবং তাঁরা প্রয়োজনীয় সব সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত।’