কোনও উইকেট না হারিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

কোনও উইকেট না হারিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : সিরিজ হারের হতাশা কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আজ হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচ। এমন ম্যাচে আজ বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট কিছুটা হলেও মেলে ধরেছে নিজেদের। মুস্তাফিজের ৬ উইকেটে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০৪ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের দরকার হয় ১০৫ রান। এমন অবস্থায় তনজিদের ৫৮ আর সৌম্য সরকারের ৪৩ রানে বাংলাদেশ কোনও উইকেট না হারিয়েই সংগ্রহ করেছে ১০৮ রান। ফলে হোয়াইটওয়াশ ভালোভাবেই এড়িয়েছে বাংলাদেশ। তুলে নিয়েছে দুর্দান্ত জয়।

এ ম্যাচের একাদশে সবমিলিয়ে চারটি বদল নিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম সারির ক্রিকেটারদের বসিয়ে দেয় তাঁরা। তবুও শুরুটা ভালো হয় তাঁদের। প্রথম চার ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই ৩৫ রান তোলে যুক্তরাষ্ট্র। পঞ্চম ওভারেও সাকিবকে ছক্কা হাঁকান দলটির ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীর। সাকিব নিজেই ভাঙেন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বোধনী এই জুটি। আন্দ্রিস গোসকে (২৭) ফিরিয়ে নিজের ৭০০তম উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেন টাইগার এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের পরেই উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ভোগানো শায়ান জাহাঙ্গিরকে তুলে নেন তিনি। জাহাঙ্গির ২০ বলে করেন ১৮ রান। মুস্তাফিজের কিপটে বোলিংয়ের যাত্রায় যোগ দেন রিশাদ হোসেনও। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে মেডেন আদায় করেন রিশাদ। তাঁদের দুজনের বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চেপে ধরে বাংলাদেশ।

মুস্তাফিজ সফল হন নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেও। এ ওভারে ১ রান খরচায় তিনি তুলে নেন নিতিশ কুমারের উইকেট। নিতিশ ৯ বলে করেন ৩ রান। প্রথম ২ ওভারে ১৯ রান খরচ করা তানজিম সাকিব শিকার করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অ্যারন জোনসের উইকেট। জোনস ২ রান করে ক্যাচ দেন রিশাদ হোসেনের হাতে।

পরের ৪ ওভারে ৮ রানে যুক্তরাষ্ট্র উইকেট হারায় ৩টি। দশম ওভারে মুস্তাফিজ পান নিজের ৩য় উইকেট। এরপর তানজিম সাকিবের হাত থেকে আসে আরেকটি উইকেট মেডেনের ওভার। 

কোরি অ্যান্ডারসনের ১৮ বলে ১৮ আর শ্যাডলি ভ্যান শ্যালউইকের ১৭ বলে ১২ ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের ১ শ রান পেরুনোর পুঁজি। তাঁদের দুজনকেই ফেরান ফিজ। শেষ ওভারে জাসদ্বীপ সিং এবং নিসর্গ প্যাটেলের উইকেট নিয়ে ৬ উইকেট পূরণ করেন মুস্তাফিজ।