মানুষের রক্তে রঞ্জিত শেখ হাসিনার হাত : তিনি মানুষের অধিকার বোঝেন না, শুধু নিজের ক্ষমতা বোঝেন

মানুষের রক্তে রঞ্জিত শেখ হাসিনার হাত : তিনি মানুষের অধিকার বোঝেন না, শুধু নিজের ক্ষমতা বোঝেন

সম্পাদকীয় মত, বাঙলার কাগজ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের অধিকারের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন, জেল খেটেছেন বছরের পর বছর। বঙ্গবন্ধু যদি এখন বেঁচে থাকতেন, তাহলে এতোগুলো কোমলমতি ছেলের রক্তও ঝরতো না, আর কোনও কারণে কারও রক্ত ঝরলেও, তার সুষ্ঠু সমাধান বঙ্গবন্ধু দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করে দিতেন। অথচ শেখ হাসিনা তাঁরই মেয়ে হয়ে শুধু বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্যদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সহানুভূতি নিয়ে যা ইচ্ছে তা-ই করে যাচ্ছেন। অথচ বঙ্গবন্ধু কেঁদেছিলেন মানুষের জন্য, আর শেখ হাসিনা কাঁদেন ক্ষমতার জন্য। শেখ হাসিনা শুধু ক্ষমতায় আসার জন্য এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যেমন জামায়াতের সঙ্গেও হাত মেলাতে পারেন, তেমনি পারেন তাঁর পিতার হত্যাকারীদেরও মন্ত্রী এবং উপদেষ্টা বানাতে। গত ১৬ বছর ধরে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে কত শত মানুষকে হত্যা করেছেন, তাঁর কোনও ইয়াত্তা নেই। মোটকথা তিনি ভালো করেই জানেন, তিনি যতোদিন বেঁচে আছেন, ততোদিন তাঁকে ক্ষমতায় থাকতে হবে; ক্ষমতার বাইরে গেলেই বিপদ। কারণ তিনি যে মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে বিক্রি করে কী কী করেছেন আর নিজের ক্ষমতাটা পাকাপোক্ত রেখেছেন। শেখ হাসিনা পরোক্ষভাবে গতকাল যে অন্যায়টা করেছেন, তা মাত্রাতিরিক্ত। প্রশাসন শেখ হাসিনাকে সব সময় ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখবে ঠিক আছে, কিন্তু এভাবে অন্যায় করে আর কতকাল? শেখ হাসিনাকে গত ১৬ বছর একটানা ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে যাঁরা যে ত্যাগ শিকার করেছেন, তাঁরা কি তাঁদের ন্যায্যটা পেয়েছেন? গত ১৬ বছরে দেশে কি সুষম উন্নয়ন হয়েছে? ভারতের মতো বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি বা বড় বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট গত ১৬ বছরে দেশের কোন জেলায় কত উন্নয়ন হয়েছে। এসব উন্নয়নের সিংহভাগ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। তার ওপর শেখ হাসিনা গোয়ার্তুমি এবং ক্ষমতার জন্য তাঁর হাত রক্তে রঞ্জিত করেই যাচ্ছেন। জয় ভাইকে (সজীব ওয়াজেদ জয়) তো দেখছি না, তিনি থাকলে নিশ্চয় কোটা সংস্কার সমস্যার দ্রুত সমাধান করে দিতেন।