মোদিকে চিঠিতে যা বললেন ভারতের রাষ্ট্রপতি

মোদিকে চিঠিতে যা বললেন ভারতের রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : আজ অযোধ্যায় ‘মহোৎসব’। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তাঁর হাত দিয়ে রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ হবে। তার আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আগে সন্তদের উপদেশ মেনে প্রধানমন্ত্রী ১১ দিন ধরে যে ‘ব্রতপালন’ করছেন, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি। রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি চিঠিতে বলেন, ‘ভারতবর্ষের চিরন্তন আত্মার বহিঃপ্রকাশ।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রের খবর, কয়েকদিন ধরেই কঠোর অনুশাসন মেনে চলছেন প্রধানমন্ত্রী। কৃচ্ছ্রসাধনের সঙ্গে থাকছে জপ, ধ্যান এবং পূজাপর্বও। সেই সঙ্গে থাকছে তাঁর প্রিয় যোগচর্চা। ১১ দিনের ব্রতপালন পর্বে ‘ব্রাহ্মমুহূর্তে’ শয্যাত্যাগ করবেন মোদি। এরপর চলবে যোগ, শরীরচর্চা এবং ধ্যানপর্ব। ‘ব্রতকথা’র নিয়ম মেনে দিনের বেশকিছু সময় ‘নীরব’ থাকবেন মোদি। পালন করবেন মৌনতা। পূজার্চনার পাশাপাশি, ১১ দিন ধরে নিয়মিত নানা হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পাঠ করছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, ‘আপনি ১১ দিন ধরে যা ব্রতপালন করছেন, তা শুধু পবিত্র আচারই নয়, প্রভু শ্রীরামের প্রতি আত্মত্যাগ এবং তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করাও।’ চিঠিতে মহাত্মা গান্ধীর কথাও উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি। লিখেছেন, ‘গান্ধীজিও ভগবান রামের বড় ভক্ত ছিলেন।’

সোমবার (২২ জানুয়ারি) রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে ১২টা ৫ মিনিটে। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অযোধ্যার বাল্মীকি বিমানবন্দরে নামবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে অযোধ্যার হেলিপ্যাডে পৌঁছবেন ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। ১০টা ৫৫ মিনিটে রামমন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। একটানা ৫০ মিনিট ধরে চলবে অনুষ্ঠান। ১২টা ৫৫ মিনিটে সব আচার-অনুষ্ঠান সেরে উদ্বোধনস্থল ছেড়ে বেরোবেন প্রধানমন্ত্রী। রামমন্দির উদ্বোধনের পর মোদি অযোধ্যায় একটি জনসভাও করবেন। রামমন্দিরের কাছেই মোদির জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। দুপুর ১টার মধ্যে তিনি সেখানে পৌঁছে যাবেন। ২টা পর্যন্ত চলবে সভা। জনগণের উদ্দেশে সেই সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন। এরপর অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান কুবের টিলায় যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির।

মন্দির উদ্বোধনের পর তা আমজনতার জন্য খুলে দেওয়া হবে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে। প্রথমবার দরজা খুলবে সকাল ৭টায়। সে সময়ে পুণ্যার্থীরা মন্দিরে ঢুকতে এবং পুজো দিতে পারবেন। সাড়ে ১১টা নাগাদ আবার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আড়াই ঘণ্টার বিরতির পর আবার দুপুর ২টা থেকে দর্শনার্থীরা রামমন্দিরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবেন। দরজা বন্ধ হবে সন্ধ্যা ৭টায়। সারাদিনে মোট তিন বার রামমন্দিরে আরতি হবে। ভোরবেলা প্রথম আরতির সময় সাড়ে ৬টা। সকালের এই আরতিকে বলা হচ্ছে ‘জাগরণ আরতি’। এরপর দুপুর ১২টা থেকে রামমন্দিরে হবে ‘ভোগ আরতি’। শেষে ‘সন্ধ্যা আরতি’ হবে ৭টা নাগাদ। শ্রীরামের জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের তরফে জানানো হয়েছে, দর্শনার্থীরা আরতি দিতে চাইলে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ৩০ মিনিট আগে মন্দিরের ক্যাম্প অফিসে পরিচয়পত্র নিয়ে হাজির হতে হবে। সেখান থেকে আরতি দেওয়ার পাস সংগ্রহ করার পর মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

রামমন্দির উদ্বোধনের আগের ভিডিও দেখতে পারেন : এখান থেকে