বান্দরবানে ৫ জন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২২।
ডন সংবাদদাতা, বান্দরবান : বান্দরবানের রুমা উপজেলার গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নের আবু পাড়ায় পাড়াপ্রধানসহ তাঁর ৪ ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রুমা থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কারবারি (পাড়াপ্রধান) ও তাঁর ৪ ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করার অপরাধে এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে এই ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন : আবুপাড়ার মৃত আবু আরং ম্রোর ছেলে রুইতু ম্রো (৫০), রুইতু ম্রোর ছেলে ইংচং ম্রো (২৬), মাংজং ম্রো (২৮), নিয়াকক ম্রোর ছেলে ক্রংপং ম্রো (৩৮), মেনকং ম্রোর ছেলে পাসিং ম্রো (২২), রুইতু ম্রোর ছেলে ক্রংতন ম্রো (৩৫), ক্রাতপং সিংচাং ম্রো (৩৯), থনলক ম্রোর ছেলে রিংয়ং ম্রো (৩৫), মেনকং ম্রোর ছেলে ইজাং ম্রো (২৭), সাখকয় ম্রোর ছেলে থনলক ম্রো (৩৫), সাকখয় ম্রোর ছেলে পালে ম্রো (২৫), লংঙি ম্রোর ছেলে ক্লাংসাই ম্রো (২০), মেনকং ম্রোর ছেলে মেনপ্রে ম্রো (২০), থনলক ম্রোর ছেলে খংপ্রে ম্রো, থনলক ম্রোর ছেলে কাইং প্রে ম্রো (১৮), ক্রাতপুং ম্রোর ছেলে মেনরাও ম্রো (২২), লংঙি ম্রোর ছেলে মেনয়া ম্রো (২৬), কামপাও ম্রোর ছেলে খনতন ম্রো (৪১), লংঙি ম্রোর ছেলে মেনয়ং ম্রো (২৪), সাকখয় ম্রোর ছেলে চাংরাও ম্রো (৩১), নিয়াকক ম্রোর ছেলে থংওয়াই ম্রো (২৪) এবং লংঙি ম্রোর ছেলে মেনপং ম্রো (৩৭)।
তাঁরা সবাই রুমা উপজেলার একই এলাকার (আবু পাড়া) বাসিন্দা।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা আদালতে আসামিদের পাঠানো হয়েছে বলেই জানিয়েছেন রুমা থানার সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কাসেম চৌধুরী।
বান্দরবান জেলায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে একসঙ্গে ৫ থেকে ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও সামাজিক বিচারকে কেন্দ্র করে একসঙ্গে ৫ জন নিহতের ঘটনা এই প্রথম।
কুসংস্কার ও পাড়ার ঝুমের জমি বিরোধ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে আবু পাড়ার একই পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতরা হলেন : কারবারি ল্যাংরুই ম্রো (৬০), তাঁর ছেলে রুংথুই ম্রো (৪৫), লেংরুং ম্রো (৪২), মেনওয়াই ম্রো (৩৭) এবং রিংরাও ম্রো (৩৫)।
হত্যার পর পাঁচটি লাশ গুম করার উদ্দেশে আবু পাড়ার পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ঝরনার গভীর খাদে ফেলে দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে গতকাল (শুক্রবার) বিকালে লাশ পাঁচ মরদেহ উদ্ধার করে রুমা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
শুক্রবারই নিহত ল্যাংরুই ম্রোর স্ত্রী হাইপয় ম্রো বাদি হয়ে রুমা থানায় পরিকল্পিত হত্যা উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।