প্রতারক শামস্‌-উলের নানান কায়দায় জালিয়াতি

প্রতারক শামস্‌-উলের নানান কায়দায় জালিয়াতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাহাতুল রাফি; বাঙলার কাগজ : শামস্‌-উল মানেই অন্যায়, শামস্‌-উল মানেই জালিয়াতি, এক কথায় শামস্‌-উল মানেই প্রতারণা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক খাতের অগ্রণী ব্যাংকের সদ্য সাবেক হওয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলাম ব্যাংকে যেমন বিপুল পরিমাণে অনিয়ম করেছেন, তেমনি করেছেন জালিয়াতি এবং প্রতারণাও। খোদ এই শামস্‌-উল ইসলামের নামে দুদকে (দুর্নীতি দমন কমিশন) অভিযোগ করেছেন বড় বড় ঋণ গ্রহীতারা। তাঁদের অভিযোগ- ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণে কমিশন নিয়েছেন অগ্রণীর সাবেক এমডি। আর এই অভিযোগ আমলে নিয়েছে দুদক। শামস্‌-উল ইসলাম বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিয়ে বড় সুবিধা নেওয়া, পেনশনের টাকায় অনিয়ম, অদূরদর্শী হিসেবে শেয়ারবাজারের অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে পুরো অর্থই ক্ষতিতে ফেলা, পুরাতন গাড়ি ঠিক করার ক্ষেত্রে অনিয়ম করা এবং ঋণের সুদ মওকুফ করার ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে উঠে এসেছে।

অভিযোগগুলোর ব্যাপারে জানার জন্য বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে খুদেবার্তা পাঠিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি ও সিইও মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলামকে ফোন দেওয়া হয়। অথচ তিনি ফোন ধরেন নি। এর আগে অবশ্য তিনি বাঙলার কাগজের কাছে দাবি করেছেন, তিনি কোনও অন্যায় করেন নি। চাকরি জীবনে কোনও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলেও দাবি তাঁর।

বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে জালিয়াতি : ম্যাগপাই নিটওয়্যারের মাধ্যমে মোহাম্মদ শামস্‌-উল অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে মোহাম্মদ শামস্‌-উল ব্যাংকটিতে এমডি হওয়ার আগেই ম্যাগপাই অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহক। তবে শামস্‌-উল ইসলামের আমলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়, যার আপত্তি করেছিলো খোদ বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ম্যাগপাই গ্রুপের পোশাক প্রতিষ্ঠান ম্যাগপাই নিটওয়্যার লিমিটেডকে মতিঝিলের প্রিন্সিপাল শাখা থেকে প্রথম ঋণ মঞ্জুর করে অগ্রণী ব্যাংক। এরপর থেকে ওই গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৩০৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু পরিশোধ সূচি অনুযায়ী গ্রাহক ঋণটি পরিশোধ করতে না পারায় তা পুনর্বিন্যাস করা হয়। তা ছাড়া তহবিল খরচ অনুযায়ী, সুদহার নির্ধারণ এবং ঋণের সুদ ব্লকড হিসেবে স্থানান্তরের সুবিধা দেওয়া হলেও ২০১৭ সালে পর্যন্ত ঋণের অর্থ নিয়মিত পরিশোধ করতে পারে নি ম্যাগপাই নিটওয়্যার। তখন সুদাসল বেড়ে ঋণের পরিমাণ ৩১৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে অগ্রণী ব্যাংকের ৫৯১তম সভায় ম্যাগপাই নিটওয়্যারের ঋণটি আবারও পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব করা হয়। ওই সভায় পর্ষদে উপস্থাপিত স্মারকে বলা হয়, ম্যাগপাই নিটওয়্যার ২০১৭ সালে ১৫৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা রপ্তানি থেকে আয় করেছে। বিষয়টি নজরে আসে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষকের। পরে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের নজরেও আসে। তাঁদের কাছে বিষয়টি এমনভাবে প্রতীয়মান হয় যে, গ্রাহক ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণের অর্থ পরিশোধ করছে না। অথবা গ্রাহকের রপ্তানি আয়ের তথ্য-উপাত্ত প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সক্ষমতার প্রকৃত চিত্র প্রমাণ করে না। অর্থাৎ এখানে ভুয়া নথিপত্র উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। এতো কিছুর পরও অগ্রণী ব্যাংকের পর্ষদ সভায় ম্যাগপাই নিটওয়্যারের চারটি মেয়াদি ঋণের প্রিন্সিপাল অ্যামাউন্ট বা আসল তিন মাসের কিস্তিতে বছরে মোট ২১ কোটি টাকা করে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত পরিশোধ করার সুযোগ দেয়। অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধের জন্য ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়ে ঋণটি পুনর্বিন্যাসের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ঋণে আসলের পরিমাণ ১৬৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর সুদ বাবদ প্রায় ১৪৭ কোটি টাকা ব্লকড হিসাবে রেখে সাত শতাংশ সুদে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত কেবল সুদের অর্থ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আদায় এবং অবশিষ্ট দায় ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধের জন্য কিস্তি পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক সিরাজুল ইসলাম আপত্তি উত্থাপন করেছিলেন। কিন্তু ওই আপত্তি আমলে না নিয়ে ঋণটি পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এমনকি পর্ষদের ওই সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে এ ধরনের পুনর্বিন্যাসকরণ ও সুদের হার কমানোর প্রস্তাব অনুমোদন করা হলেও পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত ৫৯২তম সভায় ওই শর্তটি রহিত করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সামগ্রিক বিবেচনায় যথাসময়ে প্রকল্প স্থাপনে ব্যর্থ, উৎপাদনে অক্ষম, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাহীন একটি প্রতিষ্ঠানকে বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকে গুরুতর অনিয়ম সংগঠিত হয়েছে; যা ব্যাংক এবং আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী।

বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নজরে আনেন অগ্রণী ব্যাংকে নিযুক্ত পর্যবেক্ষক। এর পরপরই জরুরি ভিত্তিতে ম্যাগপাই নিটওয়্যারকে ঋণ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এফআইসিএসডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

নানান কায়দায় জালিয়াতি : বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সেন্ট্রাল অ্যাকাউন্টস ডিভিশনে পেনশনের টাকা নিয়ে অনিয়ম করা হয়েছে। ৩০২ কোটি টাকা বিল হিসেবে উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে ব্যাংকটি। এ ছাড়া একই ডিভিশন থেকে ব্যাংকের ২৫৩ কোটি টাকা শেয়ারবাজারের অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করায় পুরো অর্থই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ব্যাংক। এর বাইরে ব্যাংকের বি-ওয়াপদা করপোরেট শাখায় সাড়ে ৩৭ কোটি টাকার ঋণে অনিয়ম করা হয়েছে। আলভি স্পিনিং মিলসের কাছে ব্যাংকের পাওনা এসব টাকা আদায় অনিশ্চিত এবং ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ পাওনা আদায়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। একই শাখায় আরও প্রায় ৪ কোটি টাকার ঋণ অনিয়ম করা হয়েছে। মেসার্স ডোমার স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজের অনুকূলে দেওয়া এসব ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ, সীমাতিরিক্ত ও ক্ষতিমানে শ্রেণিকৃত। ঋণ আদায়ে ব্যাংক কোনও ব্যবস্থাই নেয় নি। দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, টাকা আদায়ের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অগ্রণী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখার ৩ গ্রাহক প্রতিষ্ঠান ঋণের নামে নিয়ে গেছে প্রায় ৫২ কোটি টাকা। এগুলো হলো : আহমেদ স্পিনিং মিলসের অনুকূলে ৩০ কোটি টাকা, রবি ফ্যাশনের অনুকূলে প্রায় ৬ কোটি টাকা এবং মেসার্স হেলেনা এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে ১৬ কোটি টাকা। একইভাবে আমিন কোর্ট করপোরেট শাখার ৪ গ্রাহক প্রতিষ্ঠান ঋণের নামে নিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে ৫৪ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো : মেসার্স প্যান্ডোরা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের অনুকূলে ৬ কোটি টাকা, মেসার্স বেস্ট ট্রেড লিংকের অনুকূলে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা, মেসার্স রেদোয়ান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের অনুকূলে ১৪ কোটি টাকা এবং ইউনি অ্যালায়েন্স জুট ইন্ডাস্ট্রিজের অনুকূলে ১০ কোটি টাকা। এসব ঋণের পুরোটাই আদায় অনিশ্চিত হয়ে মন্দ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে আরও দেখা গেছে, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেডিট ডিভিশন-১ এর গ্রাহক প্রতিষ্ঠান মেসার্স লীনা পেপার মিলসের অনুকূলে প্রায় সাড়ে ৪৪ কোটি টাকা, ঢাকার চক বাজার শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান মেসার্স শহীদ স্টোরের অনুকূলে ১ কোটি টাকা, গ্রিনরোড করপোরেট শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান মৌরিশাস ইন্টারকন্টিনেন্টালের অনুকূলে ৩৪ কোটি টাকা, কক্সবাজার শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান মেসার্স কর্ণফুলী সি ফুডসের অনুকূলে সাড়ে ৪ কোটি টাকা, পুরানা পল্টন করপোরেট শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গ্লোবাল জুট ইন্ডাস্ট্রিজের অনুকূলে প্রায় ১২ কোটি টাকা, শান্তিনগর শাখার গ্রাহক মোসাম্মৎ তাহমিনা ইসলামের অনুকূলে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা, সদরঘাট করপোরেট শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জুয়েল ক্লথ স্টোরের অনুকূলে দেড় কোটি টাকা, বরগুনা শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান এমআর ট্রেডিং কোংয়ের অনুকূলে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা, ঢাকার ওয়াসা করপোরেট শাখার গ্রাহক প্রতিষ্ঠান অ্যাপোলো ফার্মাসিউটিক্যালস ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের অনুকূলে প্রায় ৩ কোটি টাকা, ঢাকার শ্যামলী শাখার গ্রাহক মেসার্স ডিজিটাল ব্রিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের অনুকূলে প্রায় ৬ কোটি টাকার ঋণে অনিয়ম করা হয়েছে। যার বড় কমিশন গেছে সাবেক এমডি মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলামের পকেটে।

এদিকে কয়েক দিনের মধ্যেই পুরাতন গাড়ি ঠিক করার নামে প্রায় ২০ লাখ টাকা নয় ছয় এবং কম্বল ক্রয়ের নামে প্রায় দেড় কোটি টাকার অনিয়ম করেছেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এমডি মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলাম। এমন অভিযোগ রয়েছে খোদ অগ্রণী ব্যাংকে। যা তাঁদের পরিদর্শনে উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের নির্ভরযোগ্য সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলাম অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও সিইও থাকা অবস্থায় ব্যাংকটির বিরুদ্ধে অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় নি। এক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের চাপ ছিলো। কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গেলেই বিভিন্ন সংস্থা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে সরাসরি ফোন আসতো। এক্ষেত্রে শামস্‌-উল ইসলাম জামায়াতের লোক হওয়া সত্ত্বেও জালিয়াতি করার স্বার্থে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবং তাঁদের সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে এসব ম্যানেজ করার চেষ্টা করতেন এবং ম্যানেজ করতেন। এক্ষেত্রে তিনি ক্ষমতাসীন দলের লোকজনকে ঋণ বা এ ধরনের সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাঁর কাজ হাসিল করে নিতেন। আর এ কারণে অগ্রণী ব্যাংকে এক রকম বুদবুদের সৃষ্টি হয়েছে। আর বর্তমানে যেহেতু শামস্‌-উল ইসলাম এমডির পদে নেই, এখন অগ্রণী ব্যাংকের জালিয়াতির মাধ্যমে দেওয়া ঋণগুলো খেলাপি হয়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অধিক হারে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) রক্ষা করতে হবে ব্যাংকটিকে। ফলে লোকসানের মুখে পড়বে অগ্রণী ব্যাংক।

সার্বিক ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাঙলার কাগজকে বলেন, কোনও ব্যক্তিকে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী করার আগে তাঁর অন্তত আগের ১০ বছরের রেকর্ড খতিয়ে দেখতে হবে। কোনও অনিয়ম বা জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে কোনোভাবেই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী করা উচিত নয়। তাতে ওই ব্যাংক অনেক ক্ষতিতে পড়ে।