ধনু নদীর বাঁধে আবারও ধস। হুমকিতে হাজারো একর জমির বোরো ধান।

ধনু নদীর বাঁধে আবারও ধস। হুমকিতে হাজারো একর জমির বোরো ধান।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; ময়মনসিংহ : নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ধনু নদীতে কীর্তনখোলা বাঁধের একটি অংশ ভেঙে গেছে। গত সোমবারও (৪ এপ্রিল) এই বাঁধের একটি অংশ ভেঙে গিয়েছিলো। রাতভর মাটি ফেলে মেরামতের পর আজ আবার বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া গেরো। এই বাঁধ ভেঙে গেলে মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকা থেকে আসা ঢলের পানিতে খালিয়াজুরীসহ পাশের দিরাই এবং শাল্লা উপজেলার হাওরের হাজার হাজার একর জমির বোরো ফসল তলিয়ে যাবে। এখন নদীটিতে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন খন্দকার বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, সোমবার প্রায় সারারাত শতাধিক মানুষের প্রচেষ্টায় কীর্তনখোলা বাঁধের ধসে যাওয়া একটি অংশে মাটি কেটে মেরামত করা হয়েছে। ওই মেরামত কাজ শেষ হতে না হতেই বাঁধটির আরেকটি অংশে বড় ধরনের আরেকটি ধস নেমেছে। বাঁশ, চাটাই দিয়ে কয়েকশ মানুষ বাঁধ মেরামতের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন। নেত্রকোনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ভারতের মেঘালয়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের যাদুকাটা ও সুরমা নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে খালিয়াজুরীর ধনু নদীতে ঢল আকারে নামছে। অতিরিক্ত পানির চাপে ধনু নদী সংলগ্ন কীর্তনখোলা বাঁধে বার বার ধস নামছে। বাঁধটি মেরামতের কাজ চলছে তবে এখনও বাঁধটি ঝঁকিমুক্ত হয় নি। নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যন হরিধন সরকার বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, হাওরাঞ্চলে বোরো ফসল রক্ষার জন্য ওই কীর্তনখোলা বাঁধটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বাঁধ ভেঙে গেলে প্রথমেই পাঙ্গাসিয়া হাওরের ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমির বোরো ফসল ডুবে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। এর পর একে একে ডুববে হাঁসেরকোনা, বড় নূরপুর, চাকুয়া, চৌতারা হাওরের ফসল। হরিধন সরকার আরও জানান, আগামী সপ্তাহ থেকে ধান কাটা শুরু হবে। ধান কাটা শেষ হতে পুরো মাস লেগে যাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, হাওরের ৭০-৮০ ভাগ জমিতে ধান পেকেছে। কীর্তনখোলা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কায় হাওরে কৃষকরা আধাপাকা ধানও কাটতে শুরু করেছেন।