দেশের কল্যাণে হজ যাত্রীদের প্রার্থনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর।

দেশের কল্যাণে হজ যাত্রীদের প্রার্থনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর।

বাসস : প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য হজ যাত্রীদের প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার হজ যাত্রীদের হয়রানি কমাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। 

‘হজ ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করে এর প্রভূত উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার (৩ জুন) হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করে হজ যাত্রীদের কাছে দেশের সার্বিক মঙ্গল কামনায় দোয়া চেয়েছেন। 

হজ কার্যক্রম ২০২২-এর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা হজ পালন করতে যাচ্ছেন, তাঁরা যেনো সুষ্ঠুভাবে হজ পালন এবং ইবাদত বন্দেগি করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।’

ইসলামকে ‘শান্তির ধর্ম’ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী এর সম্মান রক্ষা এবং হজ পালনকালে সৌদি আইন মেনে চলার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকার জন্যও সম্মানিত হজ যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পের সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তিনি বলেন, রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে আমরা আমাদের হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও প্রযুক্তিনির্ভর করতে সক্ষম হয়েছি। ইমিগ্রেশন ঢাকাতেই হয়ে যায়, সেখানে কোনও হয়রানি হয় না। মালপত্রও যাতে যথাযথ স্থানে পৌঁছে যায়, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডেডিকেটেড বিমান সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান। 

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি মো. শাহাদত হোসেন তসলিমও বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য জাতির পিতার বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরার পাশাপাশি ইসলামের মূলমন্ত্র যে ‘শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা’, সে সম্পর্কে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে তাঁর দেওয়া ঐতিহাসিক বেতার ভাষণের কিঞ্চিত অংশ উদ্ধৃত করেন। 

তিনি বলেন, ‘“বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমরা ইনসাফের ইসলামে বিশ্বাসী। আমাদের ইসলাম হযরত নবী করীম (সা.) এর ইসলাম। যে ইসলাম জগতবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র।”’

সরকারপ্রধান বলেন, তাঁর সরকার সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১’ প্রণয়ন করেছে। যাতে করে হজ যাত্রীরা কোনও রকম হয়রানি ছাড়াই হজে গিয়ে হজ পালন করতে পারেন।