তুরাগ নদে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

তুরাগ নদে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
ডন প্রতিবেদন : রাজধানির গাবতলীর তুরাগ নদে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির দুদিন পর নিখোঁজ মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানির মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় তুরাগ নদ থেকে নিখোঁজ মায়ের ও মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকায় ধলেশ্বরী নদী থেকে মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। উদ্ধার মরদেহ দুটি সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার গজারিয়া গ্রামের সফিকুলের স্ত্রী রুপায়ন (৩০) ও তাঁর মেয়ে জেসমিনের (২)। এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার হলো। গত শনিবারের নৌকাডুবির ঘটনায় সাভার মডেল থানায় রবিবার (১০ অক্টোবর) রাতে অবহেলাজনিত হত্যা মামলা করেছে নৌ পুলিশ। ফায়ার সার্ভিস ও আমিনবাজার নৌ পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, সোমবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার ভাটির দিকে মোহাম্মদপুরের বসিলায় তুরাগ নদের পাড়ে নিখোঁজ রুপায়নের (৩০) মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁরা ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি অবহিত করেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ছাড়া মুন্সিগঞ্জ জেলার মুক্তারপুর সেতু এলাকায় ধলেশ্বরী নদী থেকে নিখোঁজ শিশু জেসমিনের (২) মরদেহ উদ্ধার করেছেন নৌ পুলিশের সদস্যরা। আমিনবাজার নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর শেখ বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুজনের মরদেহ বসিলা ও মুক্তারপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, তুরাগে নৌকাডুবির ঘটনায় নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা বাল্কহেডের মাস্টার ও চালককে আসামি করে রবিবার (১০ অক্টোবর) রাতে অবহেলাজনিত হত্যা মামলা করা হয়েছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) আমিনবাজারের কেবলারচর ঘাট থেকে একটি যাত্রীবাহী নৌকা তুরাগ নদের অপর প্রান্তে দ্বীপনগর ঘাটে যাচ্ছিলো। নৌকায় ১৮ জন যাত্রী ছিল। মাঝনদীতে যাওয়ার পর উত্তর দিক থেকে খালি বাল্কহেড নৌকাটিকে ধাক্কা দিলে তা ডুবে যায়। এতে নারী, শিশুসহ সাতজন নিখোঁজ হয়। শনিবার (৯ অক্টোবর) চার শিশুসহ এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ বাকি দুজনের মরদেহ উদ্ধার হলো।