তথ্যমন্ত্রী : আদালতের আদেশের কপি পেলে কিছু পোর্টাল বন্ধ হবে

তথ্যমন্ত্রী : আদালতের আদেশের কপি পেলে কিছু পোর্টাল বন্ধ হবে
ডন প্রতিবেদন : হাইকোর্টের আদেশের লিখিত কপি পাওয়ার পর আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে অনুমোদনহীন কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদেরসঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে অনলাইন নিবন্ধন দিতে হবে। অনলাইন নিবন্ধন আমরা একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করছি, এসব বিষয় আমরা আদালতের কাছে উপস্থাপন করবো।’ হাইকোর্ট মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক আদেশে এক সপ্তাহের মধ্যে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে তা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের লিখিত আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পরপরই আদালত যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সে সময়ের মধ্যে কিছু অনলাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ ইতোমধ্যে অনেকগুলো অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ অনলাইন বন্ধ করার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য সহায়ক। আমরা কিছু অনলাইন বন্ধ করবো, একইসঙ্গে আমরা আদালতের নজরে আনব, নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া।’ ‘যাচাই-বাছাই ছাড়াই যদি সবগুলোকে একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়, সেটি কতোটুকু সমীচীন সেটাও ভাববার বিষয়, সেটিও আমরা আদালতের নজরে আনবো।’ তথ্যমন্ত্রী জানান, এখন নিবন্ধন রয়েছে এমন নিউজ পোর্টাল কিংবা পত্রপত্রিকা ছাড়া ভবিষ্যতে আর নতুন পোর্টাল কিংবা পত্রিকা বের হবে না এমন কোনও নিয়ম নেই। ‘যেসব অনলাইন পোর্টাল সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে না, বরং নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে এবং ব্যাঙের ছাতার মতো এতো অনলাইন আসলে দেশে প্রয়োজন নেই।’ নিউজ পোর্টাল খুলে ‘নানা অপরাধমূলক কাজ’ করা হচ্ছে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘যার যেমন ইচ্ছা একটা অনলাইন খুলে বসবে এবং সেটি নিয়ে যেমন ইচ্ছা তেমন সংবাদ পরিবেশন করবে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটানোর কাজে ব্যস্ত হবে, অন্যের চরিত্র হনন করবে, ব্যবসায়িক উদ্দেশে পরিচালিত হবে, কোনও ব্যবসায়ির স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে লেখালেখি হবে, এটি কোনোভাবেই সমীচীন নয়। সেক্ষেত্রে এ আদেশ অবশ্যই সহায়ক আদেশ।’ অনলাইন নিউজ পোর্টালের পাশাপাশি আইপিটিভি নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাঙের ছাতার মতো আইপিটিভি করার যে সুযোগ রয়েছে, এটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।’ ‘যে সমস্ত আইপিটিভি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং নিজেকে টেলিভিশন চ্যানেলের মতো জাহির করছে, খুব দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’ এখনও কোনও আইপিটিভির নিবন্ধন দেওয়া হয় নি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম গত মাস থেকে দিতে পারবো। কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়ায় আমরা দিতে পারি নি।’