তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন : রামপুরার বাসচাপায় ছাত্র নিহতের ঘটনা দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত।

তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন : রামপুরার বাসচাপায় ছাত্র নিহতের ঘটনা দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত।
ডন প্রতিবেদন : রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় এক শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনাটি দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত ঘটনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। তথ্যরমন্ত্রী প্রশ্ন, ঘটনার ১২ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে কীভাবে সেখান থেকে একটি ফেসবুক পেজে লাইভে প্রচার ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটলো। তবে এখন ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বুধবার (পহেলা ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদেরসঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘‘গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের একটি বাসের চাপায় একজন ছাত্র দুঃখজনকভাবে নিহত হয়েছে। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। কিন্তু এই ঘটনার বিশ্লেষণে কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে। তার ১২ মিনিট পর নিরাপদ সড়ক চাই তাঁদের ফেসবুক পেজে সেখান থেকে লাইভ করে। রাত ১১টায় জামায়াতে ইসলামী পরিচালিত ‘টেলিগ্রাম’ চ্যানেলে খবরটি প্রচারিত হয়। সেখান থেকে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।’’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ১২ মিনিটে নিরাপদ সড়ক চাইয়ের অ্যাডমিন কীভাবে সেখানে পৌঁছালেন? বাঁশের কেল্লা কীভাবে ১৫ মিনিটের মধ্যে খবর পেলো? ঘটনার ১৫ মিনিটেরমধ্যে কীভাবে ১০ থেকে ১২টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হলো? ছাত্ররা তো আগুন দেয় নি। কারণ, ঘটনার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে এতো ছাত্র সেখানে পৌঁছায় নি। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, যাঁরা ফেসবুক পেজে লাইভ দিয়েছে, তাঁরা ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকেই অবহিত ছিলো কি-না? হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনে ভর করে একটি মহল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত পরশু রাতের ঘটনা থেকে তা স্পষ্ট। ছাত্রদের গায়ে কালিমা লেপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রামপুরায় বাসের চাপায় মারা যান মাঈনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয় (১৭)। তিনি রামপুরার একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলের অপেক্ষায় ছিলেন। মাঈনুদ্দীন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ওই রাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ৮টি বাসে আগুন দেন। মাঈনুদ্দীন নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর মা রাশেদা বেগম বাদি হয়ে অনাবিল পরিবহনের বাসচালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। মামলায় চালকের নাম উল্লেখ করা হয় নি। মামলায় চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়। আর মাইনুদ্দিন নিহত হওয়ার জেরে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদি দুটি মামলা করেছে।