ডিজেল ও চালের শুল্ক কমালো সরকার।

ডিজেল ও চালের শুল্ক কমালো সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশেষে সরকার জ্বালানি পণ্য ডিজেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চালের শুল্ক ব্যাপক কমিয়েছে।

জ্বালানি পণ্যের দাম বেড়ে গেলে সব পণ্যের দাম বেড়ে যায়। কারণ তখন ভাড়ার বৃদ্ধি ঘটে।

জানা গেছে, আমদানি করা চালের সমুদয় শুল্ক প্রত্যাহার এবং রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ডিজেলের আগাম কর ৫ শতাংশ প্রত্যাহার এবং আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার (২৮ আগস্ট) রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে এ দুটি পণ্যের শুল্কহার হ্রাস ও প্রত্যাহার করেছে এবং এদিন থেকে তা কার্যকর করেছে।

এর আগে আমদানি করা চালের শুল্ক ছিলো ২৫ শতাংশ এবং সঙ্গে রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ শতাংশ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন চালের শুল্ক থাকবে মাত্র ৫ শতাংশ।

আর ডিজেল আমদানিতে মোট শুল্ক-কর ছিলো ৩৪ শতাংশ। এখন ১০ শতাংশ কমানো হলো। ফলে ডিজেলের শুল্ক থাকল ২৪ শতাংশ।

এনবিআর বলেছে, দেশের বৃহৎ স্বার্থে জনকল্যাণে চাল ও ডিজেলের শুল্ক করহার কমানো হলো। এর ফলে চালের দাম কমে আসবে এবং ভোক্তা কম দামে চাল কিনে খেতে পারবে। পাশাপাশি ডিজেলের দাম কমানোর পর দেশের সকল পণ্যের দাম কমে আসবে।

এক্ষেত্রে ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম কমানোর ব্যাপারে শিগগিরই সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসার কথা রয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ডিজেল সরকার আমদানি করলেও দেশেই প্রায় সবটুকু অকটেন ও পেট্রোল উৎপাদিত হয়। ফলে জ্বালানি পণ্যগুলোর হঠাৎ এতো দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

গত ৬ আগস্ট সরকার এসব জ্বালানি পণ্যের দাম ৪২ শতাংশ থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

এদিকে জ্বালানি ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য- চালের মৌসুমে কিছুতেই কমছে না। কোনও কারণ ছাড়াই এর দাম হু হু করে বাড়ছে। এতে করে নির্ধারিত ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়ে গেছে। সরকার বেসরকারি খাতে চাল আমদানি বাড়িয়ে এর সরবরাহ বাড়াতে চায়। সেজন্য শুল্ক হার ব্যাপকভাবে কমানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৩ জুন চালের শুল্ক কমিয়েছিলো সরকার।

সবমিলে সরকারের এমন উদ্যোগের পর এখন বিপিসি জ্বালানি তেলের দাম কমালে সকল ধরনের পণ্যমূল্য স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।