ডিজিটাল ব্যাংকের গাইডলাইন চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ডিজিটাল ব্যাংকের গাইডলাইন চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : দেশে নতুন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মূলধন ১২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর প্রথাগত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধন লাগে ৫ শ কোটি টাকা।

ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালিত হবে ব্যাংক-কোম্পানি আইনের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত গাইডলাইন অনুসারে।

গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংকে প্রত্যেক স্পন্সরের সর্বনিম্ন শেয়ার হোল্ডিং হবে ৫০ লাখ টাকা (সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বা ১২ দশমিক ৫ কোটি টাকা)।

ব্যাংক-কোম্পানি আইন অনুযায়ী, প্রথাগত ব্যাংকের স্পন্সরকে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়াহোল্ডার হওয়ার জন্য অন্তত ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়।

মূলধন কম লাগবে বলে স্পন্সরদের জন্য প্রথাগত ব্যাংগুলোর তুলনায় ডিজিটাল ব্যাংকের অংশীদারত্ব পাওয়া সহজ হবে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁদের খসড়া গাইডলাইনে ফিনটেক কোম্পানি, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান, মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস), ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য যৌথ উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করেছে।

গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান, এমএফএস প্রদানকারী, ফিনটেক কোম্পানি ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর যৌথ উদ্যোগ হিসেবে গঠিত ডিজিটাল ব্যাংকের ক্ষেত্রে অথবা বিশেষ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে ১০ শতাংশের সর্বোচ্চ সীমা শিথিল করা যেতে পারে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক লাইসেন্স ইস্যু করার তারিখ থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংককে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ছাড়তে হবে। আইপিওর পরিমাণ হতে হবে স্পন্সরের প্রাথমিক অবদানের ন্যূনতম পরিমাণের সমান।

ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে পরিণত করার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হলো ডিজিটাল ব্যাংকিং। এ ব্যবস্থায় ব্যাংকিং সেবাগুলো দেওয়া হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

মূল পার্থক্য হলো : ডিজিটাল ব্যাংকের শুধু প্রধান কার্যালয় থাকবে, অন্য কোনও ফিজিক্যাল শাখা থাকবে না। আর প্রথাগত ব্যাংকের সারাদেশে ফিজিক্যাল শাখা থাকে।

গাইডলাইন অনুসারে, প্রথাগত ব্যাংকগুলোর জন্য সাধারণভাবে যে ধরনের ব্যবসা, শাসন ও পরিচালন ব্যবস্থা লাগে, ডিজিটাল ব্যাংকগুলোতেও তা-ই লাগবে।

সারা বিশ্বে নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলো যখন প্রথাগত ফিজিক্যাল ব্যাংক থেকে মুখ ফিরিয়ে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের দিকে ঝুঁকছে, ঠিক সেই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে যাচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান ২০২২ সালে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রথাগত ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি।

অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় নতুন বছরেই ডিজিটাল ব্যাংকিং চালুর ঘোষণা দিয়েছেন।

বক্তৃতায় বলা হয়, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের রূপরেখা প্রণয়ণের কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, আগামী অর্থবছরে একটি ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে পারবো।’

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এমএফএস প্রদানকারী ‘নগদ’ এখন ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা করছে।

নগদ ২০২০ সালে প্রথম ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে গাইডলাইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়।

জানতে চাইলে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বাঙলার কাগজকে জানান, তাঁরা নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকে পরিণত করার পরিকল্পনা করছেন।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ ব্যাংকিং লেনদেন ক্যাশলেস করার সরকারের যে লক্ষ্য, তা বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল ব্যাংকিংই একমাত্র উপায়। কারণ ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এমএফএসের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

ডিজিটাল ব্যাংক যেভাবে পরিচালিত হবে :
আইন অনুসারে ডিজিটাল ব্যাংককে বাংলাদেশে একটি নিবন্ধিত প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই কার্যালয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রকসহ স্টেকহোল্ডারদের যোগাযোগের মূল পয়েন্ট হবে।

গাইডলাইন অনুসারে, নিবন্ধিত প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের অফিস থাকবে। এটি ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল দুভাবেই গ্রাহকের অভিযোগ গ্রহণ এবং সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় হাব হিসাবে কাজ করবে। তবে ডিজিটাল ব্যাংকের কোনও ফিজিক্যাল শাখা/উপশাখা বা উইন্ডো অনুমোদন পাবে না।

গ্রাহককে জানিয়ে বা না জানিয়ে দৈনিক লেনদেন সামলানোর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত একটি প্রযুক্তিভিত্তিক বিরোধ নিষ্পত্তি মেকানিজম থাকবে।

ডিজিটাল ব্যাংক সময় সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধান মেনে প্রচলিত ব্যাংক বা এমএফএস প্রদানকারীদের এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। তবে ডিজিটাল ব্যাংকের নিজস্ব কোনও এজেন্ট থাকবে না।

ডিজিটাল ব্যাংক অনলাইন অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড প্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে দক্ষ, সাশ্রয়ী ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল আর্থিক পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহ করবে। এটি গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে এবং সেবাবঞ্চিত, কম সেবা পাওয়া ও প্রত্যন্ত এলাকার (পার্বত্য জেলা, দ্বীপ ইত্যাদি) মার্কেট সেগমেন্টকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে এআই, মেশিন লার্নিং, ব্লকচেইন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।

ডিজিটাল ব্যাংকগুলো কোনো ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) সেবা দেবে না। এদের নিজস্ব কোনও শাখা বা উপশাখা, এটিএম/সিডিএম/সিআরএমও থাকবে না।

গ্রাহকদের লেনদেনের সুবিধার্থে ডিজিটাল ব্যাংক ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনও উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য দিতে পারে। কিন্তু লেনদেনের জন্য কোনও ফিজিক্যাল উপকরণ দেওয়ার অনুমতি নেই এ ব্যাংকের।

ডিজিটাল ব্যাংকগুলো প্রবাসী কর্মীদের রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন বা বাণিজ্য অর্থায়নে যুক্ত হতে পারবে না।

ডিজিটাল ব্যাংকগুলোকে কোম্পানি আইন অনুযায়ী সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ন্যূনতম নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) বজায় রাখতে হবে।

ডিজিটাল ব্যাংককে সময়ে সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত অ্যাডভান্স-টু-ডিপোজিট রেশিও-ও (এডিআর) বজায় রাখতে হবে।

ব্যাসেল থ্রি আরবিসিএ গাইডলাইন অনুসারে বা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী ডিজিটাল ব্যাংককে সব সময় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূলধন পর্যাপ্ততার হার (সিআরএআর) ও লিকুইডিটি রেশিও (এলসিআর—লিকুইডিটি কাভারেজ রেশিও ও এনএসএফআর—নিট স্টেবল ফান্ডিং রেশিও) বজায় রাখতে হবে।

ডিজিটাল ব্যাংকগুলো ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০-এর আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স স্কিম মেনে চলবে।

এ ছাড়া ডিজিটাল ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিএসআর নীতি অনুসারে অথবা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া নির্দেশনা অনুসারে সময় সময় করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যকলাপও পরিচালনা করতে হবে।

স্পন্সরদের যা লাগবে :
৫ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারী একটি স্পন্সরকে যৌথভাবে ক্যাপিটাল মেইনটেন্যান্স চুক্তি (সিএমএ) স্বাক্ষর করতে হবে এবং ব্যাংকের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন প্রয়োজনীয় পরিমাণের চেয়ে কমে গেলে নানাভাবে বাড়তি মূলধন জোগান দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ ধরনের মূলধন জোগান দিতে না পারলে প্রয়োজনীয় মূলধন জোগানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্পন্সর গ্রুপের ব্যক্তিদের ওপর বর্তাবে।

গত পাঁচ বছরের মধ্যে কোনও সময়ে কোনও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণ খেলাপি হয়েছেন বা ছিলেন, এমন কোনও ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের স্পন্সর হিসেবে আবেদন করার যোগ্য হবেন না।

ঋণ খেলাপি অবস্থার বিরুদ্ধে কোনও আদালত বা ট্রাইব্যুনালে কোনও নিষ্পত্তিকৃত মামলার রায়ের অপেক্ষায় আছেন, এমন কোনও ব্যক্তিও ডিজিটাল ব্যাংকের স্পন্সর হিসেবে আবেদন করতে পারবেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবসা শুরু হওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে স্পন্সর শেয়ার হস্তান্তর করা যাবে না। ব্যবসা শুরুর তারিখ থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ব্যাংক পাবলিক শেয়ার ইস্যু করবে।

স্পন্সর/পরিচালকদের অবশ্যই ফিট অ্যান্ড প্রপার টেস্ট (এফপিটি) মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তাবিত পৃষ্ঠপোষকদের দক্ষতা ও সততা এবং যে কোনও সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি যাচাই করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এফপিটির অংশ হিসেবে যেসব ব্যবসায় স্পন্সরদের নিয়ন্ত্রণ বা যথেষ্ট মালিকানা রয়েছে, বিশেষ করে আর্থিক সেবা প্রদানকারী ব্যবসার আর্থিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করতে পারে।

কোনও ব্যাংকিং কোম্পানির পরিচালক বা উপদেষ্টা বা পরামর্শদাতা প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না।

এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ কতজন পরিচালক হতে পারবেন, তা ঠিক করা হবে ব্যাংক-কোম্পানি আইন অনুযায়ী।

ডিজিটাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যের প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং, উদীয়মান প্রযুক্তি, সাইবার আইন-কানুনের বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষা, জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হবে। আর বাকি ৫০ শতাংশ সদস্য ব্যাংকিং, ই-কমার্স, এবং ব্যাংকিং আইন ও প্রবিধান ইত্যাদি নিয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রাখবেন।

বোর্ডে দ্বৈত নাগরিকসহ প্রবাসী ব্যক্তি বা কোম্পানির মোট ভোটের হিস্যা ৫০ শতাংশে বেশি হতে পারবে না।

ব্যবস্থাপক পদের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত :
ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) ব্যাংকিং পেশায় কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা— যার মধ্যে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং, রেগুলেশন, গাইডলাইন, সার্কুলার ইত্যাদি ক্ষেত্রে কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

ডিজিটাল ব্যাংকের সিইওর নিয়োগ এ বিষয়ে নানা সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা বিভিন্ন রেগুলেশন ও নির্দেশনা অনুযায়ী হবে।

প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও), প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও), প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিআইটিও), প্রধান তথ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা (সিআইএসও), প্রধান ঝুঁকি কর্মকর্তা (সিআরও), ইন্টার্নাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স প্রধানের (এইচআইসিসি) প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

ডিজিটাল ব্যাংকের সিওও, সিএফও, সিআইটিও, সিআইএসও, সিআরও, এইচআইসিসি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারিকৃত নিয়মকানুন ও নির্দেশনা মেনে চলবেন।

আবেদন মূল্যায়ন প্রক্রিয়া :
একটি প্যানেলের সদস্যবৃন্দ শর্টলিস্টে জায়গা পাওয়া আবেদনগুলো মূল্যায়ন করবেন। এ প্যানেল সদস্যদের মনোনয়ন দেবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

এরপর নির্বাচিত আবেদনকারীরা ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পাবে।

প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংক যদি শর্তগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এর এলওআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।