ডিএমপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : পুলিশ জনবান্ধব হয়েছে।

ডিএমপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : পুলিশ জনবান্ধব হয়েছে।
ডন প্রতিবেদন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পুলিশ জনবান্ধব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এমন একটি পুলিশ বাহিনীর কথাই বলেছিলেন। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে ডিএমপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নাগরিক সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এখন ৩৪ হাজার সদস্য নিয়ে ডিএমপি চলছে, আগামীতে হয়তো আরও বাড়বে। বঙ্গবন্ধু জনতার পুলিশ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। আজকের পুলিশ জনবান্ধব পুলিশ হয়েছে। মহামারিতে যখন ছেলে মায়ের লাশ ফেলে পালিয়েছিলো, তখন পুলিশ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলো। ‘পুলিশ ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন করছে বলেই আমরা একটি নির্ভরযোগ্য শহরে বসবাস করছি।’ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার হোসেন বলেন, ১৯৯০ সালের দিকে ঢাকায় অপরাধের যে মাত্রা ছিলো, তা পরিবর্তন হয়েছে। এখন পত্রিকার পাতা খুললে এই শহরে অপরাধের চিত্র নেই। আখতার হোসেন বলেন, ঢাকার এখন একটি জটিল পরিস্থিতি। একটি শহরের রাস্তা থাকা দরকার ২০ শতাংশ। রাস্তা রয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। এরমধ্যেই ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখতে হয়। অনুষ্ঠানে পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি সবকিছু রাজধানীকে কেন্দ্র করে। এই শহরকে কেন্দ্র করে আমাদের উন্নয়নের অভিযাত্রা। এই উন্নয়ন ধারা ঠিক রাখতে হলে, ঢাকাকে শান্তিপূর্ণ রাখতে হবে। ‘ডিএমপিকে বাংলাদেশ পুলিশের মুখ হিসেবে বলে থাকি। আগামী দিনে ডিএমপি নগরবাসীর সেবা আরও নিশ্চিত করবে।’ এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিক কেক কেটে ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার হোসেন, পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ এবং ডিএমপির পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, কেবল ধারণার ওপর ভিত্তি করে সব সময় আমাদের সমালোচনা করবেন না। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি, থানায় এসে আমাদের সেবা দেখে যান। আমি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলাম, আর আপনি ধারণা থেকে বলে দিলেন ঘুষখোর, তাহলে কি বন্ধুত্ব হবে? এক তরফা বন্ধুত্ব হয় না। আপনারা বলুন, কোথায় কাজ করতে হবে, পরামর্শ দিন আপনার সেবায় ডিএমপি। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বাহিনী রেখে যেতে চাই, যাতে তাঁরা সকলের বিপদে পাশে থাকে। ‘আজকে আমার গায়ে ইউনিফর্ম আছে, কালকে হয়তো এটি থাকবে না। আমি আপনার কাতারে চলে আসবো। তাই আমরা এমন বাহিনী রেখে যেতে চাই, আপনার বিপদেও পাশে দাঁড়াবে, আমার বিপদেও হাত বাড়িয়ে দিবে।’