জেব্রা মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত।

জেব্রা মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত।
ডন প্রতিবেদন : সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়কমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন- তদন্তে প্রমাণ হয়েছে, কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই জেব্রাগুলো মারা গেছে। গত মাসে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে মারা যায় ১১টি জেব্রা। হঠাৎ একসঙ্গে এতোগুলো জেব্রার মৃত্যুতে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। জেব্রার মৃত্যু রহস্য জানতে করা হয় তদন্ত কমিটি। প্রায় এক মাস পর দেওয়া হয় তদন্ত প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘাসে অতিরিক্ত নাইট্রেটের প্রভাব ও ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে জেব্রাগুলো মারা গেছে। জেব্রার শরীরে পাওয়া বিষক্রিয়ার জন্য পার্কের কাউকে দায়ী করা না হলেও, দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে সাফারি পার্কের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ‘প্রথম তিনটি জেব্রার মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে তথ্য গোপন করেছিলো দায়িত্বরতরা। কোনও প্রাণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে জিডি করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয় নি।’ বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়কমন্ত্রী আরও বলেন, এই ঘটনায় কার কার দায়িত্বে অবহেলা ছিলো, এখনই তা বলা যাচ্ছে না। তবে তিনি জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় মামলাও হবে। তদন্ত কমিটির উদ্ধৃতি দিয়ে পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ঘাসে অতিরিক্ত নাইট্রেটের প্রভাব ও মিশ্র ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেই জেব্রাগুলোর মৃত্যু হয়েছে। গত ২ ও ৩ জানুয়ারি যে ৩ জেব্রা মারা যায়, তা ধামাচাপা দেওয়া এবং আঘাতজনিত কারণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মৃত ৩টি জেব্রার পেট ধারালো কিছু দিয়ে কাটা হয়েছে। কে বা কারা ওই মৃত তিনটি জেব্রার পেট কেটেছে, তা উদ্‌ঘাটন করার জন্য নিবিড় তদন্ত করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন বনমন্ত্রী। এদিকে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাফারি পার্কে মোট ২৫টি জেব্রা আনা হয়। কিন্তু নিজেদেরমধ্যে প্রজননের কারণে তাঁদের দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা ছিলো কম। প্রতিবেদনে সাফারি পার্কে করণীয় বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশ করা ১১টি স্বল্পমেয়াদী, চারটি মধ্যমেয়াদি এবং নয়টি দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।