জানুয়ারির পর ডলার সঙ্কট আর থাকবে না : গভর্নর

জানুয়ারির পর ডলার সঙ্কট আর থাকবে না : গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : আগামী জানুয়ারির পর দেশে আর ডলার সঙ্কট থাকবে না বলেই মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আব্দুর রউফ তালুকদার। আমদানি ব্যয়ের চেয়ে রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।

স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণ বিষয়ক দিনব্যাপী জাতীয় এক সেমিনারের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এ কথা বলেন গভর্নর। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্পের (এসএসজিপি) আওতায় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, ইআরডি সচিব শরিফা খান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিবিসিইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন এতে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে গভর্নর বলেন, অনুসন্ধানে তাঁরা দেখেছেন যে, এ বছরের শুরুর দিকে আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিকহারে বেড়ে ৮ শ কোটি ডলার হয়েছে। এ বিষয়ে সতর্কতা এবং নিয়ন্ত্রণ আরোপের পর আমদানি কমে ৫ শ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। যা মূলত স্বাভাবিক আমদানি চিত্র।

তিনি বলেন, কোনও কোনও পণ্য আমদানিতে ২০ থেকে ২ শ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েসিং (প্রকৃত দরের তুলনায় অতিরিক্ত দর দেখানো) দেখানো হয়েছে। এ কারণে আন্ডার ইনভয়েসিং এবং ওভার ইনভয়েসিং (প্রকৃত দরের চেয়ে বেশি দেখানো ) রোধে কাজ করছেন তাঁরা। যাতে মুদ্রা পাচার এবং রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপের বিষয়ে গভর্নর বলেন, আমদানি পর্যায়ে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে কিছু কিছু সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। এলসির মূল্য এবং বাজারে প্রকৃত মূল্যের মধ্যে ব্যবধান পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁরা। বিদেশি মুদ্রা পাচার রোধে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেই জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমছেই। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। অথচ গত বছরের আগস্টে ছিলো ৪৮ বিলিয়ন ডলারেরও উপরে।