চীনের নিপুণ খেলা মিয়ানমারে! : বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার শঙ্কা

চীনের নিপুণ খেলা মিয়ানমারে! : বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : চীন বহু বছর ধরে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে এলেও এবার কৌশলে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। রণাঙ্গনে দেশটির অগ্রসরমান বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে বেইজিং। সুনিপুণ এই কৌশলে চীন বিদ্রোহীদের দিয়ে জান্তাকে এবং সেনা শাসকদের ভয় দেখিয়ে বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাচ্ছে। উভয় গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে তারা।

তিন বছর আগে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকেই শুরু হয় প্রতিরোধ আন্দোলন। ধীরে ধীরে তা প্রবল সশস্ত্র বিদ্রোহে রূপ নেয়। এতে দেশটির বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী বাহিনী অংশ নেয়। জাতিসংঘ বলছে, অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৫০ হাজার মানুষ।

বিদ্রোহীরা অন্তত ১২টি শহর দখল করেছে। রাখাইন, চিন এবং উত্তর শান রাজ্যে ৪০০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি এবং ফাঁড়ি দখল করেছে তারা। মিয়ানমার-চীন সীমান্তে এ জোট কার্যকরভাবে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত ক্রসিং দখল করেছে, যার মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য হয়।

মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো বেইজিং সামরিক জান্তাকে সমর্থন করছে কি-না। সাদামাটা চোখে এটা স্বাভাবিক যে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তাদের কর্তৃত্ববাদী প্রকৃতির কারণে জান্তাকেই সমর্থন করবে। তবে মিয়ানমারের চলমান সঙ্কটের জটিল অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের ভূমিকা বোঝার ক্ষেত্রে শুধু সেই কথিত মতাদর্শগত একক উপাদান যথেষ্ট নয়। চীন অন্তত এক দশক ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে খেলছে। এরই অংশ হিসেবে এখন অনেক এলাকায় জান্তাবিরোধীদের সমর্থন করছে। অথচ জান্তাবিরোধীরা জঙ্গিগোষ্ঠী বলেই মনে করছেন কেউ কেউ।