৮৫ ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : সিরিয়া ও ইরাকে ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদনের একদিন পরেই তা কার্যকর করলো যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি’র লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকে ৮৫ এর বেশি ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এই হামলায় বিভিন্ন ধরনের মার্কিন যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। যার মধ্যে দীর্ঘ পাল্লার বোমারু বিমানও ছিলো। বিবিসি বলছে, সাতটি জায়গায় এসব হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে সিরিয়ায় চারটি জায়গায় এবং ইরাকে তিনটি জায়গায়। দেশ দুইটিতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) বাহিনী কুদস ফোর্স এবং তাদের সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা হয়েছে, তার মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র, সামরিক রসদভাণ্ডার এবং ড্রোন স্টোরেজ ইউনিট মার্কিনও ছিলো। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব হামলাকে সফল হয়েছে। হামলায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছে বলে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আজ থেকে আমাদের জবাব দেওয়া শুরু হয়েছে। এটি এখন আমাদের পছন্দমতো বিভিন্ন সময় ও স্থানে অব্যাহত থাকবে।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এসব হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে- তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয় নি। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর হামলার পরিমাণও অনেক বেড়েছে। ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলা চালানো শুরু করে। তারা মার্কিন জাহাজ ও ব্রিটিশ জাহাজে হামলা চালানোরও দাবি করেছে। এর জবাবে ইয়েমেনে যৌথ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। এর মধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত ও ৪০ জন আহত হয়। এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ইরান তা প্রত্যাখ্যান করে। এরপর গত বৃহস্পতিবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি স্থাপনায় হামলার অনুমোদন দেয় বাইডেন প্রশাসন, শেষমেশ শুক্রবার তা কার্যকর করে দেশটি।