খাগড়াছড়িতে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

খাগড়াছড়িতে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ ও ডন; এস চাঙমা সত্যজিৎ, খাগড়াছড়ি : সন্তু লারমা পানছড়িতে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের আগুন জ্বালাবেন না, এই স্লোগানে আহ্বান জানিয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএসর) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘পানছড়ি ভাতৃঘাতি প্রতিরোধ কমিটি’।

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সহস্রাধিক জনসাধারণকে নিয়ে লোগাং ইউনিয়নের লোগাং বন বিহার গেটের সামনে থেকে (বাবুরা পাড়া এলাকা) একটি গণবিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে চেঙ্গী ইউনিয়নের লোগাং উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সীমান্ত সড়কে গণসমাবেশ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে ব্যানার-ফেস্টুন ছেয়ে গিয়েছিলো গণমানুষের হাতে হাতে। ফেস্টুনে লেখা ছিলো ‘আর নয় সংঘাত, সন্তু লারমা বন্ধ করুন’, ‘সন্তু লারমা আর কত রক্ত চায়?’ ‘সন্তু লারমা চুক্তি বাস্তবায়ন না করে কেন সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে? এর জবাব চাই জবাব চাই’।

চেঙ্গী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র চাকমা’র সঞ্চালনায় আয়োজিত গণসমাবেশে পানছড়ি ভাতৃঘাতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা পানছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শান্তি জীবন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে বক্তব্য দেন চেঙ্গী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কালা চাঁদ চাকমা, লোগাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা, পানছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উচিত মনি চাকমা, চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমা, লতিবান মৌজার প্রধান (হেডম্যান) ও লতিবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভুমিধর রোয়াজা, মিথি চাকমা, পানছড়ি উপজেলা কার্বারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তরুন জ্যোতি চাকমা, পানছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মন্দিরা চাকমা প্রমুখ।

গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, সামনে বৈসাবি (বৈসু, সাংগ্রাই, বিঝু) উৎসব উপলক্ষে পাহাড়ের মানুষকে আতঙ্কে ভীত-সন্ত্রস্ত করে রেখে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে সন্তু লারমার সশস্ত্র বাহিনী। পাহাড়ে আর সংঘাত নয়, সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান, তিনি যেনো ভাতৃঘাতি সংঘাত অবিলম্বে বন্ধ করেন।

বক্তারা আরও বলেন, আমাদের জুম্মো জাতির অধিকার রক্ষায় আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। আর কারো মা-বাবা, ভাই-বোন যেনো না হারায়, সে আশা রাখছি। আমরা কোনও পক্ষের নই। তাই অধিকার আদায়ে সকলে হাতে হাত রেখে কাজ করবো। এর বিনিময়ে যদি জীবনও চলে যায়, তবুও আমরা সদা সর্বদা প্রস্তুত থাকবো।