ডন : এমপি-মন্ত্রীদেরকে বলবো, আপনারা সাধারণ মানুষের মনের ভাষায়, তাঁদের মুখের ভাষায় কথা বলুন। জনবান্ধব এবং গণবান্ধব হয়ে কাজ করুন। এক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশ ভারতের কৃষি আইন বাতিল আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়ে দিয়েছে।
আমরা জানি, শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি আদায়ে আন্দোলন করছে এবং তাঁদের দাবির একটি ‘বড় অংশ’ তাঁরা আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। তাঁরা আন্দোলন না করলে কিন্তু এটি কখনোই হতো না।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকে বলবো, একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা কীভাবে আপনি ছোট করে দেখবেন? এক্ষেত্রে আমি গাড়ি ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের পক্ষে কথা বলছি না, কিন্তু নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের ফেসবুক পেজ থেকে স্বল্প সময়েরমধ্যেই রামপুরার ঘটনার লাইভ হতে পারে। কারণ একটি ফেসবুক পেজে লাইভ হলে বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকেই সেই লাইভটি শেয়ার করা যায় আবার একটি ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনও কিন্তু একজন নন।
জামায়াত-শিবিরের ‘বাশের কেল্লা’ কিংবা তাদের অন্য কোনও চ্যানেল থেকে রামপুরার ঘটনার সম্প্রচার, সেটি অবশ্যই তাদের স্বার্থের জন্যই করা হয়েছে। কারণ বাস মালিকদের ‘একটি বড় অংশই’ জামায়াতের রাজনীতিরসঙ্গে সম্পৃক্ত। আর তাঁরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই এমনটি করতে পারেন।
সার্বিকভাবে, তারা কিন্তু সফলও হয়েছেন বলা যায়। কারণ তারা প্রচারও করলেন আবার বলেও দিলেন। ফলে আন্দোলনটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো।
কিন্তু ক’দিন আগেও যখন জাতীয় সংসদে জি এম কাদের বাসের কর্তৃত্ব নিয়ে কথা বলছিলেন, তখন কিন্তু মাথা নিচু করেই বসেছিলেন সরকারদলীয় অধিকাংশ সাংসদ। আবার তখন জি এম কাদেরের ঠিক পাশে বসেই মুচকি হাসছিলেন মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ।
এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করে বাস মালিকদের কাছ থেকে তাঁদের দাবি আদায়, এ যেনো জনগণের ক্ষমতায়নেরই বড় বহিঃপ্রকাশ।
সার্বিকভাবে, তেল-চিনি-নুন-ডালের দাম বাড়লে জনগণের প্রতি সহমর্মি হোন। তেল-গ্যাসের দাম বাড়লে তাঁদের প্রতি জবাবদিহি করুন। কর্তৃত্ববাদি নয়, বরং জনগণের প্রতি সহমর্মি হয়েই কথা বলুন। পরিত্যাগ করুন মালিকপক্ষের হয়ে কথা বলার রীতি। আর তাতেই হওয়া যাবে জনগণের সরকার।