করোনামুক্ত হলেন মেসি।

করোনামুক্ত হলেন মেসি।
ডন প্রতিবেদন : অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন লিওনেল মেসি। নতুন বছরের প্রথম দিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দুঃসংবাদ পেয়েছিলেন তিনি। তবে তিনদিন যেতেই হাসিমুখ আর্জেন্টাইন এই মহাতারকার। করোনামুক্ত হলেন মেসি। কোভিড নেগেটিভ হয়েই নিজ দেশ ছেড়েছেন। ফ্রান্সে তার ক্লাব প্যারিস সেন্ট জাঁর্মেইয়ে (পিএসজি) রিপোর্ট করতে আর্জেন্টিনা থেকে উড়াল দিয়েছেন মেসি। দেশটির গণমাধ্যম জানাচ্ছে, মেসি মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রাতে রোজারিও বিমানবন্দরে তার স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও তাদের তিন সন্তান থিয়াগো, মাতেও এবং সিরোকে নিয়ে একটি ব্যক্তিগত বিমানে দেশ ছাড়েন। মেসি বড়দিন ও নতুন বছরের ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন নিজ দেশ আর্জেন্টিনায়। কিন্তু মাতৃভূমিতে ফিরে গিয়ে উদ্দাম ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। এ কারণেই হয়তো নতুন বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ শুনতে হয় তাঁকে। করোনায় আক্রান্ত হন পিএসজির এই আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকায় সনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী মেসি। খবরটি জানিয়েছিল মার্কা ও গোল ডটকম। তবে মেসি চটজলদিই নেগেটিভ হলেন। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার মেসি তাঁর ক্লাব পিএসজির চিকিৎসকদের পরামর্শেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কোয়ারেন্টাইনের পুরোটা সময় একা থেকেছেন তিনি। সঙ্গতভাবেই পরিবারের সবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয় তাঁকে। করোনা আক্রান্ত হলেও মেসির শরীরে কোনও উপসর্গই ছিলো না। এবারই প্রথম এই অতিমারিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন কোপা জয়ী এই মহাতারকা মেসি। অবশ্য ইউরোপের ফুটবলে ফের আতঙ্ক হয়ে এসেছে করোনা। করোনার নতুন ঢেউয়ে জোরাল আঘাত পড়ে পিএসজিতে। তার ধকলে পড়তে হলো এই তারকা ফুটবলারটিকেও। এদিকে ফুটবলার ও স্টাফ মিলিয়ে পিএসজির পাঁচ খেলোয়াড় আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। মেসির সুখবরের দিনেই আরও এক দুঃসংবাদই পায় দলটি। বিশ্বসেরা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুমাও আক্রান্ত হলেন করোনায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ নিয়ে পিএসজির ষষ্ঠ খেলোয়াড় আক্রান্ত হলেন ভাইরাসটিতে। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে ডনারুমার করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। এই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে পেশাদার ফুটবল লিগের নতুন স্বাস্থ্য নীতিমালা মেনে আগামী সাতদিন আইসোলেশনে থাকতে হবে তাঁকে।