কু‌মিল্লায় মণ্ডপ থেকে খোয়া যাওয়া হনুমানের গদা উদ্ধার

কু‌মিল্লায় মণ্ডপ থেকে খোয়া যাওয়া হনুমানের গদা উদ্ধার
ডন প্রতিবেদক, কুমিল্লা : কুমিল্লা নগ‌রের নানুয়া দীঘির পাড়ের অস্থায়ী পুজামণ্ডপের হনুমানের মূর্তি থেকে খোয়া যাওয়া গদাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় দারোগাবাড়ি মাজারের পাশে ফেডা‌রেল সাংবা‌দিক ইউ‌নিয়‌নের সা‌বেক সভাপ‌তি গিয়াস কামাল চৌধুরীর দোতলা বা‌ড়ি চৌধুরী ভবনের সাম‌নের একটি ঝোঁপ থেকে গদাটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ইকবালের দেওয়া তথ্যে গদাটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। ইকবাল মাজার থেকে পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর প্রথম প্রহরে ওই পূজামণ্ডপে নিয়ে হনুমানের মূর্তির কোলে রেখে গদাটি নিয়ে এসেছিলো বলে পুলিশের ভাষ্য। সকালে ওই ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায়, হামলা হয় ওই পূজামণ্ডপে, সেদিনই কুমিল্লা শহরের আটটি মন্দিরে হামলা হয়। দুর্গাপূজার মধ্যে ওই ঘটনার জেরে দেশের আরও কয়েকটি জেলায় আক্রান্ত হয় হিন্দু সম্প্রদায়; হামলা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় আটজন। ঘটনাস্থলের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে মণ্ডপে কোরআন রেখে আসা ব্যক্তি হিসেবে মাজার এলাকারই ইকবালকে চিহ্নিত করার কথা জানায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। শনিবার (২৩ অক্টোবর) আদালতের মাধ্যমে ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় থানা পুলিশ। একদিন বাদে রবিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে তাকে নিয়েই গদাটি উদ্ধার করা হয়। ধর্ম অবমাননা, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কুমিল্লায় নয়টি মামলায় অর্ধশতাধিক জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারমধ্যে ইকবাল ছাড়াও ইকরাম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন নামে আরও দুজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে পবিত্র কোরআন অবমাননার মামলাটির তদন্তভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে সিআইডি কুমিল্লার সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনার দিন ১৩ অক্টোবরই কোতয়ালি মডেল থানার এসআই হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।