কুমিল্লায় কাউন্সিলরসহ দুইজন খুন : সিসিটিভির ফুটেজ ভাইরাল।

কুমিল্লায় কাউন্সিলরসহ দুইজন খুন : সিসিটিভির ফুটেজ ভাইরাল।

ডন প্রতিবেদক, কুমিল্লা : গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে কাউন্সিলর সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা নিহত হন। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহাকে যেখানে গুলি করা হয়, ওই অফিসের সামনে রয়েছে ৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা। পুলিশ ঘটনার পর রাতেই এসব সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এসব ফুটেজ থেকে ঘাতকদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে ওই ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ালো ২-এ। জানা গেছে, মুখোশধারী ছয় থেকে আটজন ওই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। যদিও পুরো শরীর ঢাকা থাকায় দুর্বৃত্তদের ‘শনাক্ত করা যায় নি’। তবে স্থানীয়রা তাদের দেহাবরণ দেখে জেল সোহেল কিলিং মিশনে ছিলো তা অনেকটা নিশ্চিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ২ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুই সন্ত্রাসী অস্ত্র উঁচিয়ে বাসাবাড়ি লক্ষ্য করে দৌড়ে দৌড়ে গুলি করছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও থেমে থেমে তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছেন। জনতাকে সংগঠিত হতে দেখে সন্ত্রাসীরা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে একপর্যায়ে পালিয়ে যায়। তবে ওই সিসিটিভি ফুটেজে কাউন্সিলরের অফিসে ভেতরের হামলার দৃশ্য দেখা যায় নি। জানা গেছে, কাউন্সিলর সোহেলকে এলোপাতাড়ি ১০টি গুলি করেছে ঘাতকরা। এতে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যায়। হামলাকারীদের পিস্তলের দুটি গুলি সোহেলের মাথায়, দুটি বুকে, অন্য পাঁচটি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকায় শাহ আলম নামের এক ব্যক্তিরসঙ্গে কাউন্সিলর সোহেলের বিরোধ চলছিলো। শাহ আলম পেশায় মাদক ব্যবসায়ী। সোহেল কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে শাহ আলমের মাদক ব্যবসায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়াও শাহ আলম গ্রুপেরসঙ্গে কাউন্সিলর সোহেলের বিভিন্ন কারণে বিরোধ চলে আসছিলো। সোমবার (২৪ নভেম্বর) কালো মুখোশ পরে শাহ আলমসহ ৮ থেকে ১০ জন সশস্ত্র ক্যাডার কিলিং মিশনে অংশ নেওয়ার খবর স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেলেও পুলিশ এখনও কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া ক্যাডারদের পরিচয় ‘নিশ্চিত করতে পারে নি’। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বলছেন, এলাকায় সোহেলের কোনও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিলো না। মাদক নির্মূল, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি। মাদক ব্যবসা ঠেকাতে গিয়ে সোহেলেরসঙ্গে সংরাইশ এলাকার কয়েকজনের বিরোধ ছিলো। সর্বশেষ সপ্তাহখানেক আগে সোহেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সংরাইশ এলাকার সাব্বিরেরসঙ্গে সোহেলের লোকজনের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। https://www.youtube.com/watch?v=iluNWO-rFts