কাওসারের মানসিক অসুস্থতার কথা আগেই জানতেন আইজিপি!

কাওসারের মানসিক অসুস্থতার কথা আগেই জানতেন আইজিপি!

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : রাজধানীর বারিধারায় পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হককে গুলি করে হত্যার অভিযুক্ত অপর কনস্টেবল কাওসার আলীর মানসিক অসুস্থতার কথা আগে থেকেই জানতেন বলে জানালেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কাওসার আলী এর আগে মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ডিপ্লোম্যাটিক এলাকার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দায়িত্বে ছিলেন তিনি, বিষয়টি পুলিশ জানত কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘এটা আমরা জেনেছি। এরপর একজন চিকিৎসক যখন তার বিষয়ে বলেছেন যে তিনি (কনস্টেবল কাওসার) ফুললি ফিট ফর জব (চাকরির জন্য সম্পূর্ণ সুস্থ) তখন তাকে কাজে আবার নিয়জিত করেছি। তবে এ ধরনের সদস্যদের নিয়োগের আগে ভবিষ্যতে আরও বেশি সতর্ক থাকবো আমরা।’

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ একটি পেশাদার বাহিনী। পুলিশে বেসিক ট্রেনিংয়ে স্ট্রেস (চাপ) ম্যানেজমেন্ট কি হবে, বিভিন্ন পর্যায়ে কি ধরনের স্ট্রেস হতে পারে মনোবিজ্ঞানীরাও ক্লাস নিয়ে থাকেন। পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও ক্লাস নেন। বিশেষ ইউনিট যেমন ডিএমপি অথবা কোনও জেলায় একজন সদস্যের পোস্টিং হয় সঙ্গে সঙ্গে ওই জায়গার ডিউটি প্যাটার্ন অনুযায়ী ব্রিফিং করা হয়, ওরিয়েন্টেশন কোর্সও করানো হয়। এ ছাড়া ডিউটির ধরন অনুযায়ী কি ধরনের স্ট্রেস হতে পারে সে বিষয়েও মাঝে মাঝে ব্রিফিং হয়।’

পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদ অর্জনে বাহিনীটির প্রধান হিসেবে আপনি কতোটা বিব্রত? এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘যে বিষয়গুলো আসছে সেগুলো নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে জিনিসটা বের হয়ে আসবে। যেসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নেতিবাচক দিক আসে, সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে থাকি।’

পুলিশের কনিষ্ঠ কর্মীদের উদ্দেশে দুর্নীতিবিরোধী কোনও বার্তা আছে কি না, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, একজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালনের দিক থেকে ইতিবাচকভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এক সময় জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দেশকে ছেয়ে ফেলেছিলো। সেই অবস্থায় বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারত্বের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেছে। দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হয়েছি।

হাইওয়ে পুলিশের প্রধান, অতিরিক্ত আইজিপি শাহবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।