এস আলমের ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

এস আলমের ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে বিদেশে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৬ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

একটি গণমাধ্যম এবং বাঙলার কাগজে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনও অনুমতি তিনি নেন নি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনলে আদালত বলেন, ‘যদি এস আলম অর্থপাচার না করে থাকে, তবে সেটা এফিডেভিট আকারে দাখিল করুক।’

সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এস আলম গ্রুপের অর্থপাচারের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেনো বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বাইরে বিনিয়োগের জন্য এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিলেও চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম সেই তালিকায়।

নথি ঘেঁটে আরও জানা গেছে, গত এক দশকে সিঙ্গাপুরে মোহাম্মদ সাইফুল আলম অন্তত দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য যে সম্পদ কিনেছেন, সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তাঁর নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিমাণ অর্থ ২০০৯ সালের পর সিঙ্গাপুরে এস আলমের কেবল দুটি হোটেল ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দশ ভাগের এক ভাগ মাত্র। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি থেকে আরও দেখা গেছে, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে ১ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে, যার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানও এস আলমের মালিকানাধীন নয়।

সবমিলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে মোহাম্মদ সাইফুল আলম ১ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন।