এক টেবিলে রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দেখা করেছেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। তিনি আজ সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে গিয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা করেন। দুজন এক টেবিলে বসে নাশতা করেছেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান আবু হোসেন (বাবলা)। তিনি আজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে গত রোববার দেশে ফিরেছেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জি এম কাদেরসহ দলের সবার সঙ্গে আলোচনা করে ভুল–বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো হবে।
রওশন এরশাদ ওয়েস্টিনেই থাকছেন বলে জানান সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন। এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রওশন এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ ও তাঁর স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
গত জুনে রওশন এরশাদ একবার ব্যাংকক থেকে দেশে এসেছিলেন। তখনো তিনি গুলশানের নিজের বাসায় না উঠে ওয়েস্টিন হোটেলে ছিলেন। সেখান থেকে গত ৫ জুলাই তিনি আবার চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যান। রওশন এরশাদ এমন একসময় দেশে ফিরেছেন, যখন তাঁর সম্মেলন আহ্বান নিয়ে জাপায় বিভক্তি ছড়িয়েছে। বিভক্তির জেরে সম্প্রতি জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ দলের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় মসিউর রহমানকে (রাঙ্গা)।
জাপার বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হকের করা এক মামলায় গত ৩০ অক্টোবর আদালত জাপার চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদেরের ওপর দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আজ হাইকোর্ট গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে জি এম কাদেরের নিষেধাজ্ঞার আদেশ আগামী ৩ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।
রওশন ও জি এম কাদেরের আজকের সাক্ষাৎ নিয়ে আবু হোসেন বলেন, অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে তাঁদের দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছে। তাঁরা এক টেবিলে বসে নাশতা করেছেন। সেখানে শুধু তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।
রওশন এরশাদের সঙ্গে জি এম কাদেরের রাজনৈতিক দূরত্ব প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে। আজ এ নিয়ে কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির নেতা আবু হোসেন বলেন, সব দলেই সমস্যা থাকে এবং থাকবে। তবে রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে কোনো দূরত্ব ছিল না। তাঁরা সব সময় একসঙ্গে ছিলেন। আজ চেয়ারম্যান এ নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। তবে মূলত এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিলো।