ইভিএমের বদলে সিসি ক্যামেরা বাড়ানোর কথা বললেন সাবেক ইসি সাখাওয়াত

ইভিএমের বদলে সিসি ক্যামেরা বাড়ানোর কথা বললেন সাবেক ইসি সাখাওয়াত

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বদলে সিসিটিভির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন।

আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন। সভা থেকে বের হয়ে সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

এম সাখাওয়াত বলেন, ভালো হোক, মন্দ হোক- ইভিএম নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। যে বাজেটে ১৫০টি আসনের জন্য ইভিএম কেনা হবে, তার থেকে ভালো যতোখানি সম্ভব সিসিটিভি ব্যবহার করা।

ব্যালটে ভোটের পক্ষে মত দিয়ে সাবেক এই কমিশনার বলেন, ‘ব্যালট পেপারে ভোট চুরি করলেও সেটা খুঁজে বের করা সহজ। আপনাদের কাছে ভোটার লিস্ট (ছবিসহ) আছে। স্বাক্ষর আছে। সবকিছু আছে। ম্যাচ করা যায়। সূক্ষ্ম কারচুপি আপনারা যেটা দেখলেন ইভিএমে, বাইরের পরিবেশ ফার্স্ট ক্লাস! ঝামেলা নেই। হইচই নেই। কিন্তু ভেতরে কী হচ্ছে? অন্য সিস্টেমে (ব্যালটে) যখন এটা হবে বাইরেও হইচই হবে। কারণ, একা তো পারবেন না। ভোট কাটতে হলেও পাঁচ থেকে ছয়জন লাগবে। এতে প্রতিপক্ষ তো হইচই করবে। এটা আপনারা আরও ভালো করে দেখতে পারবেন। ভোটকক্ষের সিসিটিভি তো কষ্ট করে দেখতে হয়।’

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ইসির নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানান সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, আপনারা যেটা করেছেন, সেটা ঠিক আছে। তবে পরের ধাপগুলোয় যেনো স্লিপ না করেন। যদি স্লিপ করেন, তাহলে জাতির কাছে অন্য রকমের ম্যাসেজ যাবে। আপনারা দেখানোর জন্য করেছেন। বাকিটুকু করলেন না। আইন শক্ত অবস্থানে যে, প্লিজ ডু ইট।’

কমিশনের যে ক্ষমতা, তাঁরা তা প্রয়োগ করেছে বলেন সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এখন ফলোআপ হচ্ছে কারা, কী করেছে, তা বের করা। কারা দোষী, কারা দোষী নয়, সেটা চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে না পারলে ইসির উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠবে।

ইসিকে উদ্দেশ্য করে সাখাওয়াত আরও বলেন, ‘কেবল ভোট বন্ধ নয়, যে ক্ষমতা আছে, সেটা প্রয়োগ করতে বলেছি। নিজস্ব কর্মকর্তা ও যাঁদের দিয়ে ভোট করাবেন, তাঁদের কনফিডেন্স আনতে হবে। তাঁদের বোঝাতে হবে, আপনারা প্রটেকশন দিচ্ছেন।’