আরও এক জঙ্গি গ্রেপ্তার : লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে জুয়েল ভূঁইয়া নামে ওই কয়েদিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫টি অস্ত্র, হাতকড়া ও এক হাজার ৯১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। 

পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে। জুয়েল ছাড়া অন্য তিনজন হলো, র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ফারুক আহাম্মেদ, সিটিটিসি'র হাতে গ্রেপ্তার খাদিজা পারভীন ওরফে মেঘলা ও ইসরাত জাহান ওরফে মৌসুমী। 

অন্যদিকে নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে এ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেছেন ৪৮১ কয়েদি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় ১৯ আগস্ট বিকেলে নরসিংদী কারাগারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা কারাগারের ভেতরে ঢুকে সেলের তালা ভেঙে ফেলে‌‌। সেখান থেকে কয়েকজন জঙ্গিসহ ৮২৬ কয়েদি পালিয়ে যায়। কারাগারের অস্ত্রাগার ও কারারক্ষীদের কাছ থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজার ১৫০টি গুলি লুট করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্বাধীনতাবিরোধীরা কারাগারে অগ্নিসংযোগ করেই ক্ষ্যান্ত হয় নি, তারা ডিসি অফিস, এসপি অফিস, আদালত পাড়াসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে। তারা কারাগার থেকে লুট করা অস্ত্র ও গুলি দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। পুলিশ সদস্যরা জীবনবাজি রেখে তাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করে সরকারি সম্পদ ও জানমাল রক্ষা করেছে।

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার পরপরই লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে চিরুনি অভিযানে নামে পুলিশ। মাত্র পাঁচদিনের ব্যাবধানে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৪৫টি উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি রাইফেল ও ১০টি শটগান রয়েছে। আর এক হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি কারাগারে হামলার ঘটনায় পৃথক ১১টি মামলায় ১৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।