আন্তর্জাতিক অভিযানের আতঙ্কে জলদস্যুরা

আন্তর্জাতিক অভিযানের আতঙ্কে জলদস্যুরা

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : আন্তর্জাতিক বাহিনীর সম্ভাব্য উদ্ধার প্রচেষ্টায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে সোমালি জলদস্যুরা। তবে তারা এখনও বাংলাদেশি জিম্মি জাহাজ আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। তারা জাহাজটি উপকূলের কাছাকাছি তীরের দিকে সরিয়ে নিয়েছে। জাহাজে থাকা নাবিকদের চলাফেরায়ও শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ রেখেছে। সপ্তাহখানেক ধরে জিম্মির এ ঘটনায় পরিস্থিতির ওপর জোর দিতে তারা নাবিকদের প্রথমবারের মতো তাদের বাসায় ফোন দিয়ে কথা বলারও অনুমতি দেয়। খবর : দ্য মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ।

জিম্মি নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে এতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক নাবিককে তাঁদের পরিবারকে ফোন করার জন্য জাহাজের স্যাটেলাইট ফোনে কয়েক মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিলো। জলদস্যুরা নাবিকদের কাছ থেকে তাঁদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস জব্দ করে। তাঁদের সঙ্গে পরিবারের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধের এক সপ্তাহ হয়ে গেছে।

নাবিকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা ভালো আছেন। তবে এখন ভয়ে আছেন- কারণ জাহাজে যে পরিমাণ পানি ও খাবার আছে তা শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে। 

২২ জন নাবিকই জানিয়েছেন, তাঁরা জাহাজেই আছেন। জাহাজে বন্দুকধারীরা একে-৪৭ রাইফেল বহন করায় উত্তেজনা ও উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু তাঁরা বলেছেন যে, তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় নি।

জলদস্যুদের উত্তেজনা ও আতঙ্কের কারণ হলো : ভারতীয় নৌবাহিনী বুলগেরিয়ান জাহাজ রুয়েনের নাবিকদের সফলভাবে উদ্ধার করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনাভফর আটলান্টা মিশনের সঙ্গে কাজ করা একটি যুদ্ধজাহাজ যা সোমালিয়ায় জাহাজটিকে শনাক্ত করার পরে দূর থেকে আবদুল্লাহকে দেখছে। ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাঁরা সোমালি সমুদ্রসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত জাহাজটিকে অনুসরণ করেছিলো।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাহিনীর যে কোনও প্রচেষ্টাকে সফল হতে না দিতে জাহাজটি সোমালি উপকূল থেকে মাত্র চার মাইল দূরে অবস্থান করা হয়েছিলো। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকার এবং এসকে শিপিংয়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তাঁরা জোর করে কোনও পদক্ষেপ অনুমোদন করেন নি। ঘটনাটির দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী।

জাহাজের মালিকপক্ষ জলদস্যুদের তৃতীয় পক্ষের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে বুধবার যে তথ্য জানিয়েছে, তারপরে আর কোনও অতিরিক্ত তথ্যই প্রকাশ করে নি। সেই সময় বলা হয়েছিলো যে, কোনও নির্দিষ্ট মুক্তিপণ দাবি করে নি জলদস্যুরা।