আইএমএফের ঋণের আশ্বাসে খুশিতে ডুগডুগি বাজাচ্ছে সরকার : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার আশ্বাসে খুশিতে সরকার এখন ডুগডুগি বাজাচ্ছে। দুর্নীতির মাধ্যমে রিজার্ভ ফাঁকা করে এখন আইএমএফের ঋণ নিয়ে সরকার জনগণকে আবারও ঋণের মধ্যে ফেলছে। এর আগে বলেছিলেন আইএমএফের ঋণ লাগবে না, এখন কেনো সরকার আইএমএফের ঋণ নিচ্ছে? কারণ, দুর্নীতি করে রিজার্ভ ফাঁকা করে ফেলেছে।’
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডাক্তার জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ শোধ করবেন কীভাবে? এখন আরেকটা ঋণের মধ্যে ফেলছেন জনগণকে। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর জনগণের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। আমরা করোনার সময় মেগা প্রকল্পগুলো বন্ধ করতে বলেছিলাম।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘টাকা পাচার করে বিদেশে ব্যবসা করার হিড়িক পড়েছে। একটি দেশে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের হিড়িক পড়েছে। সেখানকার শেয়ার ব্যবসাসহ নানান জায়গায় বিনিয়োগ করছে বাংলাদেশিরা।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৪ বছরে বিরোধীদল দমনে সরকার গায়েবি মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ক্ষমতাসীনদের হাতিয়ার হচ্ছে মামলা দেওয়া। পুরোনো যেসব মামলা ছিলো, সেগুলো সচল করা হচ্ছে। ১৪ বছর ধরে একই খেলা চলছে। মামলা দিয়ে দমানো যাবে না। গণসমাবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা জানে না, প্রতিটি ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে গণআন্দোলনের মাধ্যমে। নূর আলমদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়ার মাজার সরিয়ে নেওয়ার কথা বলে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, বিএনপি এটাকে হালকা করে নিচ্ছে না। এর মাধ্যমে জনগণের নজর ভিন্ন দিকে নিতে চায় সরকার, তা হতে দেবে না বিএনপি। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে অবিলম্বে ক্ষমতা দিয়ে সরে দাঁড়ান।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলন, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মুস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।