৭০৭ ইউনিয়নে নির্বাচন বুধবার। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন।

ডন প্রতিবেদন : পঞ্চম ধাপে ৭০৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট বুধবার (৫ জানুয়ারি)। কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যও। আমাদের প্রতিবেদক ও সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও হরিরামপুর উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য নির্বাচনি সরঞ্জাম নিতে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যান বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা। তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যালটবাক্স ও ব্যালট পেপারসহ সব সরঞ্জাম। এখানে ১৯২টি কেন্দ্রেরমধ্যে ৩৫টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি বাঙলা কাগজ এবং ডনকে নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান। পিরোজপুরের দুটি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। ৪৬টি কেন্দ্রের দুই শতাধিক বুথের জন্য পাঠানো হয় ইভিএম মেশিন, ব্যালট বাক্সসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা হলরুম থেকে নির্বাচনি সামগ্রী বুঝে নিয়েছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা। এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ হবে একশ ৩০টি কেন্দ্রে। এসব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি বাঙলা কাগজ এবং ডনকে জানিয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ। ভোলা সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে হবে ইভিএমএ ভোটগ্রহণ। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৩ হাজার ৮শ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়া ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপার ২০টি ইউনিয়নেও কড়া নিরাপত্তায় পৌঁছানো হয়েছে ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম। গত বছরের ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের দুই দফায় ৩৬৯টি, ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি, ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ১ হাজার এবং ২৩টি এবং ডিসেম্বরে চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।