১২ জেলায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি

১২ জেলায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি
ডন প্রতিবেদন : উজানের বৃষ্টি আর ঢলের কারণে দেশের অন্তত ৮টি নদ-নদির পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে গেছে। ১২টি জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের এসব জেলার প্রায় এক লাখ মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, আগামি এক সপ্তাহ এসব জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবে। অনেক এলাকায় পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দৈনিক দুর্যোগ পরিস্থিতির প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এরইমধ্যে বন্যাকবলিত এলাকায় নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রি পাঠানো হয়েছে। বন্যায় পানিবন্দি মানুষের জন্য স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি ভবনগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ি, এরইমধ্যে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা এবং রাজবাড়ীসহ বন্যাকবলিত কয়েকটি জেলার মানুষ স্থানীয় উঁচু সড়ক এবং ভবনে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছে। এদিকে পানি বৃদ্ধি ও দমকা হাওয়ার আশঙ্কায় দেশের সবগুলো নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে ৫৩টিতে পানি বাড়ছে ও ৫২টিতে পানি কমতে শুরু করেছে। আর ১৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি প্রতিবেদন বলছে, এক সপ্তাহ ধরে শুরু হওয়া বন্যায় রাজবাড়ী ও বগুড়া জেলার নিম্নাঞ্চল সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। আগামি এক সপ্তাহে এসব জেলার আরও এলাকায় পানি প্রবেশ করবে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ি, দেশের প্রধান ৭টি নদ-নদির মধ্যে পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, আত্রাই, মেঘনা, দুধকুমার ও ধলেশ্বরীর ১৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আগামি এক সপ্তাহ সেখানে পানি বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহি প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুইয়া বলেন, বাংলাদেশের উজানে ভারতীয় অংশে বৃষ্টিপাত বেড়ে গেছে। ফলে ওই পানি ঢল হয়ে বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদিগুলোর দিকে আসছে। যে কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আগামি এক সপ্তাহ বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, রবিবার (২৯ আগস্ট) দেশের বেশিরভাগ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে। আগামি কয়েকদিন বিরতি দিয়ে আবারও বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে। আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নীলফামারীর ডিমলায় ৬৭ মিলিমিটার। রাজধানির আকাশ বেশিরভাগ সময় মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হয়েছে সবমিলিয়ে মাত্র ১ মিলিমিটার।