হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০

হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ ও ডন; লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ছাত্রলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন : উপজেলা আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক মিলন সরকার, উপজেলার ভোলাগুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, সিন্দুর্না ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সদস্য রিফান, রুমন ও আসাদুল এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরন্নবী কাজল, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন, রবিউল, আলী ও জাহিদ, হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম।

হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আমরা সভা শেষ করে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছিলাম। ওই সময় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। কোনো কারণ ছাড়াই তাঁরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।’

বিএনপি নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক মিলন সরকার বলেন, ‘আজকে বিকেলে সিন্দুর্না ইউনিয়নে ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভা উপলক্ষে নেতা–কর্মীরা মিছিল বের করেন। আমিও সেখানে ছিলাম। মিছিলটি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গেলে দলটির নেতা–কর্মীরা আমাদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। এতে আমিসহ ছাত্রলীগের আরও চারজন আহত হন।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আজ দুপুরে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে দলটির আলোচনা সভা ছিল। সভা শেষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই সড়কে উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভা উপলক্ষে একটি মিছিল বের করে উপজেলা ছাত্রলীগ।

মিছিলটি হাতীবান্ধা ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা বিএনপির নেতা–কর্মীদের ধাওয়া দেন। বিএনপির নেতা–কর্মীরা পিছু হটে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও সেখানে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আল আকসা বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন ভর্তি আছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানার এসআই মহিদুল ইসলাম আহত হয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।