সাহা পাড়ার জন্য যা করণীয় সব করবো : ছাত্রলীগের সম্মেলনে মাশরাফি।

সাহা পাড়ার জন্য যা করণীয় সব করবো : ছাত্রলীগের সম্মেলনে মাশরাফি।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; নড়াইল : ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে লোহাগড়া উপজেলায় দিঘলিয়া গ্রামের সাহা পাড়ায় হামলা ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাঁদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে নড়াইল শহরে সুলতান মঞ্চে অনুষ্ঠিত জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মাশরাফি বলেন, ‘আমার মনটা ভালো নেই। যে হামলা হয়েছে… বিগত কয়েক দিন আমরা ওখানে আছি। প্রশাসন প্রশাসনের মতো কাজ করবে। কিন্তু আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড হিসেবে দিঘলিয়ায় আছি, কাজ করছি। দিঘলিয়ার জন্য যা যা করণীয়, আমরা তার সব করবো।’

বেলা ১টায় সম্মেলন শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটি গঠনের জন্য নড়াইল সার্কিট হাউসে ছাত্রলীগের কাউন্সিলর ও প্রার্থীদের নিয়ে অতিথিরা বৈঠক করেন। রাত সোয়া ১টা পর্যন্ত কমিটি গঠনের কাজ চলছিলো।

মাশরাফি আরও বলেন, ‘নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের ভাইবোনদের জন্য একটা বার্তা দিতে চাই, আমরা কাজ করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আমাদের এই একটাই উদ্দেশ্য থাকবে। উনি ক্ষমতায় থাকলে দেশ ভালো থাকবে, দেশ এগিয়ে যাবে, দেশের উন্নয়ন হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে। নড়াইল থেকে যে-ই মনোনয়ন পাক, আমরা সবাই এক হয়ে যেনো ওনার জন্য কাজ করতে পারি। সেই নেতৃত্ব যেনো এখান থেকে গড়ে ওঠে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস এবং সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খানসহ অন্যরা এ সময় বক্তব্য দেন।

নড়াইল -১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক বলেন, ‘নড়াইলের মানুষ কখনও আওয়ামী লীগকে ফেরত দেয় নি। জেলা ছাত্রলীগের অবস্থা আজকে ধূসর হয়ে গিয়েছে। নতুন কমিটিতে যোগ্য নেতাদের জায়গা দিতে হবে।’

সম্মেলনে প্রধান অতিথি মাহবুব-উল আলম হানিফ বক্তব্য শুরু করতে গেলে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় তিনি শুভেচ্ছা বক্তব্য জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করে দেন।