সংসদের ৫০ বছর পূর্তিতে বসছে বিশেষ অধিবেশন

সংসদের ৫০ বছর পূর্তিতে বসছে বিশেষ অধিবেশন

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : আগামী ৭ এপ্রিল (শুক্রবার) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি বা সুবর্ণজয়ন্তী। সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আগামী ৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন।

স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অধিবেশন শুরু হবে। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৭ এপ্রিল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় দিনটিকে সংসদের কার্যদিবস হিসেবে গণ্য করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এদিন সংসদের বিশেষ অধিবেশনে স্মারক বক্তৃতা করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এদিন অধিবেশন প্রত্যক্ষ করতে দেশি-বিদেশি অতিথি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিশেষ অধিবেশন ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে। তবে ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।

সংসদের বিশেষ অধিবেশন সম্পর্কে স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী বলেন, ৭ এপ্রিল আমাদের জাতীয় জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসেও এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ তার যাত্রা শুরু করেছিলো। সংসদের প্রথম অধিবেশনটি এদিনই অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ তার সুবর্ণজয়ন্তী (৫০ বছর) বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমে উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একাদশ সংসদ ৫০ বছরের এই সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছে, এটা অনেক গর্বের বিষয়। কারণ সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন নারী, বিরোধী দলীয় নেতা রওশান এরশাদ, সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এবং আমি স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী একজন নারী। দশম ও একাদশ সংসদের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

জানা গেছে, সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রদত্ত স্মারক বক্তব্যের ওপর সংসদের ১৪৭ এ কার্যপ্রণালি বিধির আলোকে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সংসদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। সে প্রস্তাবের ওপর সংসদের প্রবীণ সদস্য, বিশেষ করে যাঁরা ১৯৭৩ এর সংসদে ছিলেন তাঁরা বক্তব্য রাখবেন। ৮ এপ্রিল দিনব্যাপী এই আলোচনা চলবে। ৯ এপ্রিল সংসদের এই বিশেষ অধিবেশন সমাপ্ত হতে পারে।